গাজা খাওয়ার অনুমতি চাইলেন জাবি শিক্ষার্থী

0
411

জাবি প্রতিনিধিঃ একের পর এক বেপরোয়া কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্র। দিন তিনেক আগে বিভাগীয় সভাপতি বরাবরে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেন তিনি।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪১ ব্যাচের (বর্তমানে ৪৩ ব্যাচের সঙ্গে অধ্যয়নরত) কিশোর কুমার দাস নামের এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এর আগেও উঠেছে নানা অভিযোগ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, তিন দিন আগে তাকে (কিশোর কুমার) বিভাগে গাঁজাসহ ধরেন শিক্ষকরা। ওইদিন তার পরীক্ষা ছিল। গাঁজা খাওয়া খারাপ কিছু না দাবি করে সে বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিতভাবে গাঁজা সেবনের অনুমতি চায়। ’

তিনি বলেন, ‘পরে বিভাগ কিশোর কুমারকে আমাদের কাছে পাঠায়। আমরা তাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছি। আজ আবার এক ছাত্রী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছে। এদিকে টিএসসির এক কর্মকর্তাও অসংলগ্ন আচরণের অভিযোগ এনেছেন তার বিরুদ্ধে।

প্রক্টর আরও বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে সে আর স্বাভাবিক নেই। তবে সে যা যা করেছে তা ছাত্র শৃঙ্খলাবিরোধী। ডিসিপ্লিনারি বোর্ড বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করবে। ’

মাস কয়েক আগে ফেসবুকের একটি গ্রুপে মেসেঞ্জারে তার অশালীন কথাবার্তার স্ক্রিনশট পোস্ট করেন অন্য বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী। ওই সময় আরও কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীও একইরকম বার্তা পেয়েছেন অভিযোগ তোলেন। নিজের প্রেমিকাকে ছাত্রী হলের সামনে মারধরের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত কিশোর কুমার ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন কিশোর কুমার। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করলে হল ছাড়েন তিনি।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন কিশোর কুমার। তবে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে কয়েকমাস আগে সংগঠনটি তাকে বহিষ্কার করে।