প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বিএনপি নেতা পিতাকে না পেয়ে পুত্রকে ২৪ ঘন্টা থানায় আটকে রেখে নির্যাতন এবং পরে জুম্মার নামাজ আদায় করতে না দিয়ে নাশকতার কথিত মামলায় চালান দেয়া হয়েছে। ন্যাক্কারজনক, অমানবিক ও ধিকৃত এ ঘটনার জন্ম দিয়েছে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) বেলা ৩ টায় ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি বাচ্চু মীরের বাসভবনে যায় পুলিশ। তারা বাচ্চু মীরকে না পেয়ে তার ছেলে সৈয়দ হাসান আলীকে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় বাচ্চুকে থানায় গিয়ে ধরা দেয়ার নির্দেশ দেন ওসি। কিন্ত বিএনপি নেতা বাচ্চু থানায় না যাওয়ায় শুক্রবার বেলা ৩টায় তার ছেলে হাসানকে কথিত নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ আজ এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানবাধিকারের লংঘন ঘটানোর দায়ে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন। বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, আটকের পর হাসানকে বিদ্যুৎহীন, খাবারহীন, মশক যন্ত্রণাময় স্থানে সারা রাত নিদ্রাহীন রেখে জুম্মার দিনে নামাজ পড়তে না দিয়ে আদালতে চালান দেয়ার ঘটনা কি কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ঘটানো সম্ভব? পিতা বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, এতে পুত্রের অপরাধ কি? আর বিএনপি কি কোন নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল? গত এক মাসে প্রথম দফায় ১৫ টি গায়েবী মামলায় ৪২ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ৩টি গায়েবী মামলায় ১১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮ থানা।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকে পদদলিত করে মানবাধিকার লংঘন করে সরকার পুরানো বাকশালী কায়দায় একদলীয় নির্বাচন করে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার বাসনায় যা করছে, এটি কি কোন সভ্য সমাজে করা সম্ভব? বিএনপি নেতারা বলেন, সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাবার পথে, মসজিদে নামাজ পড়তে যাবার পথে, দোকানে শিশুর জন্য দুধ কিনতে যাবার পথে, পরিবারের অসুস্থ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যাবার পথে বিনা কারণে গ্রেফতার করা এবং দুই বছর আগে ইন্তেকাল করা ব্যক্তি কিংবা পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবে অবস্থান করা ব্যক্তিকে গায়েবী মামলায় আসামী করা কেবলমাত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফেরী করা আওয়ামী সরকারের পক্ষেই সম্ভব।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, গণগ্রেফতার চালিয়ে, গায়েবী মামলায় আসামী করে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে, ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দূর্বল করা যাবেনা। সাজানো পাতানো নির্বাচনে কোন ভাবেই বিএনপি অংশ নেবেনা। বরং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং জনগনের ভোটের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে শহীদ জিয়ার প্রতিটি সৈনিক আমৃত্যু লড়াই করে যাবে। বিএনপির এই লড়াইয়ে সামিল হওয়ার জন্য আপামর জনগনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল আলম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, ইকবাল হোসেন খোকন, আসাদুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।