খুলনা জেলায় দুই লাখ ৭১ হাজারের অধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

0
269
????????????????????????????????????

তথ্য বিবরণী: খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা, একটি সিটি কর্পোরেশন এবং দুইটি পৌরসভায় আগামী ১১ জানুয়ারি দুই লাখ ৭১ হাজার তিনশ ৪১ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আজ সোমবার সকালে খুলনার স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সম্মেলনকক্ষে জেলা পর্যায়ের এ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষে খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর এই সভার আয়োজন করে।
খুলনার সিভিল সার্জন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডাঃ মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডাঃ পবিত্র কুমার কুন্ডু, খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ শামসুল আলম, কেসিসি’র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার হালদার প্রমুখ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ শরাফাত হোসেন। সভায় খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
এবছর খুলনা জেলায় নয়টি উপজেলা, একটি সিটি কর্পোরেশন এবং দুইটি পৌরসভায় ৬ হতে ১১ মাস বয়সী ৩১ হাজার ছয়শ ৪৩ এবং ১২ হতে ৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৩৯ হাজার ছয়শ ৯৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধের লক্ষে আগামী ১১ জানুয়ারি দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। ঐ দিন সকাল আটটা হতে বিকাল চারটা পর্যন্ত শিশুদের বিনামূল্যে একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি রেল স্টেশন, বাসটার্মিনাল, ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটসহ জনবহুল স্থানে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকবে। ছয় হতে ১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে অসুস্থ শিশু ও বিগত চার মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল প্রাপ্ত শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
ভিটামিন এ অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নিমূর্লের পাশাপাশি শিশুকে দীর্ঘ মেয়াদি ডায়রিয়া, রাতকানা হতে রক্ষা করে শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি ২৪ শতাংশ কমায়। শিশুকে হাম ও মারাত্বক অপুষ্টি হতে দূরে রাখে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।