খুলনা ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত

0
673

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের মূল্য যখন নিম্নমুখী, পার্শ্ববর্তী দেশে যখন গ্যাসের দাম কমানো হলো, তখন বাংলাদেশে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সরকারের গণবিরোধী চরিত্রই প্রকাশ পেয়েছে তা নয়, বরং সরকারের রক্তচোষা চেহারাও উম্মোচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে শুধু গ্যাসের মূল্য বাড়েনি, খুন, গুম, ধর্ষণ, রাহাজানি, চুরি, দুর্নীতি সবই বৃদ্ধি পেয়েছে ৷
তিনি আরও বলেন, এই সরকারের আমলে কৃষকরা ধানের ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না। অপরদিকে কৃষি পণ্যের দাম অনেক বেশি। রোগীরা সেবা পাচ্ছে না, ছাত্ররা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত, সাধারণ মানুষ হয়রানীর শিকার হচ্ছে।

রাষ্ট্রের সর্বত্র অব্যবস্থাপনা, জনগণ নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। সকল সুযোগই যেন সরকার দলীয় লোকজনের জন্য, এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না।

অর্থ পাচারের দিকে থেকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে। দেশের ৫ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে সরকার দলীয় লোকেরা। সরকারের লোকজন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছে পরিণত হয়েছে। সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে জনগণের জন্য সরকারের কোন দরদ নেই।

মুফতী আমানুল্লাহ বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক আইন এবং সভ্যতা-ভদ্রতার সকল সীমা অতিক্রম করে মুসলিম নির্যাতন করে যাচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি সন্ত্রাসীরা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন করে হত্যা করছে। এবং বলপ্রয়োগ করে জয় শ্রীরাম বলাচ্ছে। মোদি সরকারকে মুসলিম নিধন বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে বাংলাদেশের মুসলমানরা ভারত অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবে।

আজ শনিবার (১৩জুলাই ২০১৯) বিকাল ৪টায় নগরীর নিউমার্কেট বায়তুন নুর মসজিদ চত্তরে দেশব্যাপী ভয়াবহ খুন, গুম, ধর্ষণসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, ভারতে মুসলিম হত্যা ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন ।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক সমাবেশ নগর সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন ও জেলা সেক্রেটারী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল পূর্বক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর
সহ সভাপতি আলহাজ্ব মাওঃ মোজাফ্ফার হোসাইন, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, জেলা সহ-সভাপতি মাওঃ রেজাউল করিম,শেখ জামিল আহমদ, নগর জয়েন্ট সেক্রেটারী আলহাজ্ব মাওঃ দ্বীন ইসলাম , জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওঃ মজিবুর রহমান ,নগর সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম সজীব মোল্লা, নগর সহ সাংগঠনিক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ আসাদুল্লাহ হামিদি, সহ সাংগঠনিক মাওঃ আশরাফুল ইসলাম, নগর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, সহ প্রচার আব্দুর রশীদ, জেলা প্রচার সম্পাদক মাওঃ হারুন অর রশিদ,সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ ওলিয়ার রহমান, মোঃ শরিফুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল শফিকুল ইসলাম, মাওঃ আব্দুস সত্তার, মোঃ মাসুম বিল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধা জিএম কিবরিয়া, আলহাজ্ব মোমিনুল ইসলাম, মোঃ হুমায়ন কবির, ক্বারী মোঃ বাবর আলী, মুফতী ইসহাক ফরীদি , মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ফয়সাল , মুফতী মনোয়ার হোসাইন , এ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুস ছালাম, ডাঃ মাওঃ নাসির উদ্দিন ,মাওঃ হাফিজুর রহমান, হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমান, মুফতি বোরহান উদ্দিন, মাওঃ আবু সাঈদ, মোঃ ইব্রাহিম হাওলাদার, আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, জি,এম, নওশের আলী, আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, মাওঃ আবুল কালাম আজাদ, ডাঃ শহিদুল্লাহ, মোঃ জাহিদুৱ রহমান, মুফতি বেলাল হোসেন ,আলহাজ মাওলানা ইমরান হুসাইন, মুফতী মাহবুবুর রহমান, আলহাজ্ব মাওঃ শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, আলহাজ্ব আবু তাহের ও মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, মাওঃ গাজী নুর আহমেদ, এস এম আবুল কালাম আজাদ, গাজী মুরাদ হোসেন, মুফতী হেলাল উদ্দিন, যুব নেতা মুহাঃ ইসমাইল হোসেন, মাওঃ তাওহীদুল ইসলাম মামুন, মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, মোঃ হুমায়ুন কবীর, এইচ এম জুনায়েদ মাহমুদ, ছাত্র নেতা মুহাঃ আমিরুল ইসলাম, মুহাঃ সাইফুল ইসলাম, এসকে নাজমুল হোসেন, মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান, এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, কাজী আল আমিন, মুহাঃ নাজমুল হুদা, আব্দুস ছালাম জায়েফ, মুহাঃ নাজমুস সাকিব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

জেলা সভাপতি প্রভাষক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান বলেন, দেশ বার বার দুর্ণীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়, সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের ৯৭ ভাগ দুর্নীতিগ্রস্ত। যারা দেশ পরিচালনা করে তাদের নামেই দুর্নীতির মামলা হয়ে জেল খাটে। এই সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে আজীবন জেল খাটতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তিতাসে প্রতি মাসে সাড়ে ১২ শতাংশ গ্যাস চুরি হয়। এই চুরি ও দুর্নীতি বন্ধ না করে সরকার এর দায় জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। সরকার দেশের পুরো অর্থনীতিকেই যেন গিলে খেতে চাচ্ছে।

সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল বায়তুন নুর চত্তর থেকে বের হয়ে ডাকবাংলা মোড় আসলে পুলিশ বাধা দেয়, বাধা পেরিয়ে মিছিল পাওয়ার হাউজ মোড় এসে মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।