খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে ৪ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪০

0
219

খুলনাটাইমস প্রতিবেদক:
খুলনায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত পৃথক সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে দুইজন করোনায়, বাকি দুইজন উপসর্গে মারা যান। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন সেন্টার ও নুরনগরে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে সোমবার খুমেক হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে নতুন করে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৩০ জন খুলনা জেলা ও মহানগরীর। বাকিরা পার্শ্ববর্তী জেলার। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও ফ্লু কর্নারের ফোকাল পার্সন ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বাসিন্দা মোঃ সোবাহান এর পুত্র মোঃ কামাল হোসেন (৪০) কে করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৩ আগস্ট আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ১১টায় তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বাসিন্দা সেবা রানী (৬৫) কে করোনা উপসর্গ নিয়ে ২২ আগস্ট বিকাল ৫টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ আগস্ট রাত ৮টায় তার মৃত্যু হয়। তারা করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতালের সমন্বয়কারী ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, বাগেরহাট সদর এলাকার বাসিন্দা হাসেম হাওলাদার এর পুত্র আঃ জব্বার হাওলাদার (৫০) করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১২ আগস্ট থেকে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ আগস্ট রাত পৌনে ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
এছাড়াও গোপালগঞ্জ এর কাশিয়ানী উপজেলার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ এর ছেলে লিমন (২৮) করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৩ আগস্ট দুপুরে করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টায় তার মৃত্যু হয়।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে সোমবার মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিলো ১৪৭টি। এদের মধ্যে মোট ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৩০ জন খুলনার। এছাড়াও খুমেক ল্যাবে যশোরের ৪ জন, সাতক্ষীরার ৩ জন, বাগেরহাটের ২ জন ও গোপালগঞ্জের ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।