খুলনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনসহ একশ’ প্রতিষ্ঠান অগ্নি নির্বাপক ঝুঁকিতে

0
607

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা শাখাসহ একশ’ প্রতিষ্ঠান অগ্নি নির্বাপক ঝুঁকিতে রয়েছে। বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ফায়ার ব্রিগেড’র পক্ষে সামাল দেয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। ঝুঁকি এড়াতে ফায়ার ব্রিগেড সংশ্লিষ্টদের ১৬টি পরামর্শ দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান,খুলনার বড় বাজার ও নিউমার্কেট অগ্নি নির্বাপকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বড় বাজরে প্রবেশের রাস্তা অপ্রশস্ত। নিউমার্কেটের পাশে পানির রিজার্ভ বা ট্যাংক নেই। উল্লিখিত দু’টি ভবন ছাড়াও গ্রীন লাইফ টাওয়ার আরও ঝুঁকিতে রয়েছে। অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, গাজী মেডিকেল, সিটি মেডিকেল, আদ্ দ্বীন-আকিজ মেডিকেল, সন্ধানী ক্লিনিক, গরীব নেওয়াজ, সুরক্ষা হাসপাতাল, জোহরা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, অঙ্কুর ডায়াগনস্টিক, খালিশপুর ক্লিনিক, ফরটিকস স্কটস, হার্ট ইনস্টিটিউট, রাশিদা মেমোরিয়াল, বাংলাদেশ আই হাসপাতাল, রাইসা ক্লিনিক, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, সংক্রামকব্যাধী হাসপাতাল, বক্ষব্যাধী হাসপাতাল, ফাতেমা হাসপাতাল, নার্গিস মেমোরিয়াল, চুকনগর মেডিকেল সেন্টার, দলিত হাসপাতাল,চুকনগর সার্জিক্যাল ক্লিনিক, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ট্রিবিউন টাওয়ার, ইউনাইটেড টাওয়ার, রূপসা প্লাজা, মাতৃভাষা, সিসভাস ডেভেলপার, আমিন প্লাজা, হোটেল সিটি ইন, হোটেল ওয়েস্টার্ন ইন, জনতা জুয়েলার্স, নিরালা টাওয়ার, সুগন্ধি টাওয়ার ইত্যাদি।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স’র সহকারী পরিচালক মো: দুলাল মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, ভবনের মালিকদের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটলে ঐ ভবন থেকে বেরোনোর পথ রাখতে হবে। একইসাথে ফায়ার লাইসেন্স করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এখানকার মালিকরা বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ করছে। ফায়ার সেফটি প্ল্যান নেই।