খুলনায় একটি আতংকের নাম ‘ইয়াকুব রাজা’! হত্যা চেষ্টায় বেঁচে যাওয়া যুবলীগ নেতা হাসানের তথ্য

0
539

ফকির শহিদুল ইসলাম:
‘ইয়াকুব রাজা’। একটি নাম নন, আতংক। এই আতংক শুধুই তাদের জন্য, যাদের উপর ‘রাজা’র ক্ষোভ তৈরী হয়। সেই ক্ষোভের আগুন মেটাতেই চলে হামলা। আক্রোশের শিকার ব্যক্তির মৃর্ত্যু নিশ্চিত, এমন প্রতিশ্রুতি দিলেই তবে অর্থ দেন ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের। এরপর চলে হামলা। প্রাণ হারান কোন একজন। আর এভাবেই নিজের ক্ষোভের বর্হিঃপ্রকাশ ঘটায় সে। নিজের অর্থে সকল ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যায়, এমনটাই বিশ্বাস করেন।
অথচ অনেক সাধারণ জীবনযাপন তার, করেন ব্যবসা। বসবাসরত নিজ এলাকায় পরিচিতি ভালো মানুষ হিসেবেই, ধর্মালম্বীও বটে! অথচ এমন ভালো মুখোশের আড়ালে রাজার হিংসাত্বক রূপটি এতটাই ভয়ানক, যা কখনোই প্রকাশ পায় না। একমাত্র তার প্রতিহিংসার শিকার হওয়া ব্যক্তিই জানে, কত দূর্ধষ্য সে, কতটাই না ভয়ংকর। মানুষকে খুন করাতে তার মোটেই বাঁধে না। হামলা করিয়ে মৃর্ত্যুর মুখ দেখিয়ে আনা, ওর সখ।

গত শুক্রবার দুপুরে খুুলনাটাইমস’র এই প্রতিবেদকের কাছে এভাবেই দূর্ধষ্য ইয়াকুব রাজা সম্পর্কে বর্ণনা দেন, তার আক্রোশের শিকার ১৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান শেখ। এসময় হাসানের চোখেমুখে আতংকের ছোঁপ পড়েছিল। সে পারে না এমন কোন কাজ নেই, অভিমত হাসানের। কেন এই ক্ষোভের সৃষ্টি? এমন প্রশ্নে প্রথমে বেকে বসলেও ধীরে ধীরে সে বলা শুরু করে। হাসানের দাবি করে, সম্প্রতি ইয়াকুব রাজাকে একটি জমি দখল করতে সহায়তা করা হয়েছিল। সে বাবদ তাকে যৎ সামান্য অর্থ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি ছিল। তবে তা রাখেনি রাজা। বরং বারবার সেই টাকা চাওয়ায় ক্ষুব্দ হয়ে এই হামলা করানো হয়। হাসানের মতে, ইয়াকুব রাজা বংশ পরম্পরায় ভারতের নাগরিক, হয়তো এজন্য এতটা পাষন্ড সে।

উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌণে আটটায় ডালমিল মোড়ে মোঃ হাসান শেখকে হত্যার উদ্দেশ্যেই একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্র্কিত হামলা চালায়। পাঁচটি মোটরসাইকেলযোগে মোট ১২জন সন্ত্রাসীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাসানের পিঠে একাধীক স্থানে গভীর ক্ষত সৃৃষ্টি হয়। প্রাণ রার্থে সে দৌড়ে পার্র্শ্বর্তী এক বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে। তার মতে, হামলায় অংশ নেয়া দূূর্বৃত্তরা টাকার বিনিময়েই এসব সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে থাকে। হাসান আরও জানান, সন্দেহজনক ব্য্যক্তিদের নাম আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে জানানো হয়েছে। দ্রুতই হামলাকারী ও তার নেপথ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি তোলেন সে।

এ বিষয়ে ইয়াকুব রাজার বক্তব্য নিতে শনিবার রাতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি খুলনাটাইমসকে বলেন, একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত আছেন বলে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না। অবশ্য এর একদিন আগে শুক্রবার তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমতাজুল হক খুলনাটাইমস’র কাছে জানান, লিখিত কোন অভিযোগ না পাওয়ায় এই ঘটনায় কোন আইনি পদপে নেয়া সম্ভব হয়নি।