‘খুলনার বিশ্বাস পরিবারকে ছোট করতে তৎপর একটি মহল’

0
311

নিজস্ব প্রতিবেদক : নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে একজন সুবিধাবাদী নেতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল গফফার বিশ্বাস।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। গত ১১ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘খুলনার বিশ্বাস পরিবার, সরকার বদলালেও কমে না আধিপত্য’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশে তাদের বিশ্বাস পরিবারকে সামজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এসবের পেছনে একটি স্বার্থান্বেষী মহল কাজ করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নজরুল ইসলাম মঞ্জুর কারণে বাংলাদেশের এক সময়ের সফল স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলী, সাবেক মেয়র শেখ তৈয়েবুর রহমান, খুলনার সাবেক এমপি আলী আজগার লবীর মতো গুণী রাজনীতিকরাও বিএনপির রাজনীতি করতে পারেননি। শেখ রাজ্জাক আলী ও শেখ তৈয়েবুর রহমান মৃত্যুবরণ করলেও আলী আজগার লবী আজ রাজনীতিতে নির্বাসিত। তাছাড়া নুরুজ্জামান খোকনসহ অনেক দক্ষ নেতাই নিষ্ক্রিয় হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমানে অনেক ছাত্র ও যুব নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুর কারণে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত। নজরুল ইসলাম মঞ্জুর কাছে এখন গুটি কয়েক চাটুকার রয়েছে। যাদের রাজনীতির অতীত পরিচয় খুবই নগন্য। সম্মানীয় এবং যোগ্য নেতারা আজ বিএনপির রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। বিএনপি থেকে বিশ্বাস পরিবারের সদস্যদের বহিষ্কার করা হয়েছে মর্মে মঞ্জুর সে বক্তব্য সঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বরং আমরাই মান সম্মান আর পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে পদত্যাগ করেছি। এসময় তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাইয়ের পরিবার আমাদের প্রতিবেশী ছিলেন। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্নতা থাকলেও প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের সুসম্পর্ক সব সময় বিরাজমান ছিল। খুলনা ৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি বিজয়ী হন এরপর জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যোগ দেন বলে উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে খুলনার পরিবহন সেক্টরে আমাকে চাঁদা দিয়ে গাড়ি নামাতে হয় মর্মে আজগুবি মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমার ভাইপো এবং আমার জামাতা ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান বিশ্বাসের নামে মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টিও মিথ্যা। আনিসুর রহমান বিশ্বাস টানা চারবার ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আমার ছোট ছেলে সোহেল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে স্ত্রী সারাহ ফারগুশন তন্বীকে খুন করার অভিযোগ করা হয়েছে। যা আদৌ ঠিক নয়। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে যা ময়না তদন্তের রিপোর্টেও প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি বলেন, খুলনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়টিসহ পুরো পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গাটি ছিল আমাদের পরিবারের। যা অধিগ্রহণ করে পাউবো অফিস করা হয়। সেখানে আমার ছােট ভাই সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস ও ওমর বিশ্বাস ঠিকাদারী ব্যবসা করেন। গণপূর্ত ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেন্ডারের সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার কল্পিত অভিযোগ করা হয়েছে। বুলু বিশ্বাস তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আজ সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছে। তাকে সহ বিশ্বাস পরিবারকে হেয় করার জন্যই এ ধরণের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন সাবেক এ সংসদ সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর আনিসুর রহমান বিশ্বাস, হাফিজুর রহমান, এস এম খুরশিদ আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আহমেদ মনি, বিশ্বাস পরিবারের সদস্য দেলদার বিশ্বাস, হাবিব বিশ্বাস প্রমুখ।