খুমেক হাসপাতালের সেবা র‌্যাংকিংয়ে টানা ৩য় বার প্রথম স্থান দখল

0
201

খবর বিজ্ঞপ্তি:
চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল র‌্যাংকিংয়ে টানা তৃতীয়বারের মত প্রথম স্থান দখল রেখেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মুন্সী মোঃ রেজা সেকেন্দার জানান, স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের এমআইএস শাখা প্রতিমাসে স্বাস্থ্যসেবার মান নির্নয়ের মাধ্যমে দেশের ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের র‌্যাংকিং নির্নয় করেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গত জুলাই মাসে র‌্যাংকিংয়ে ১৪ নন্বরে ছিল। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য তিনি চিকিৎসক, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গসহ সাংবাদিক মহলের সহায়তা নেন। সবার সহযোগীতায় নভেন্বর মাসে ৬৬.৭১ পয়েন্ট অর্জন করে তৃতীয় বারের মত প্রথম স্থান দখলে রেখেছে। এর আগে সেপ্টেন্বর মাসে ৬৩ দশমিক ২৬ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থানে উঠে আসে এক সময়ের ঝিমিয়ে পড়া স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অক্টোবর মাসেও ৬৫.৭৯ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মত প্রথম স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়। তিনি আরো জানান, হাসপাতালে চিকিৎসক সহ জনবল অনেক কম। মঞ্জুরীকৃত চিকিৎসকের পদ ২৬৯ জনের স্থলে চিকিৎসক রয়েছে ১২৫ জন। বর্তমান চিকিৎসকের শূন্যপদ রয়েছে ১৪৪ টি। নার্স ৪৮৫ জনের পদে রয়েছে ৪৬০জন। তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী ৭৪ জনের স্থলে রয়েছে ৩৬জন, ৩৮টি পদ শূন্য রয়েছে। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর শূন্যপদে রয়েছে ১০৯ জনে স্থলে ৮৯ জন, শূন্য পদ রয়েছে ৩০টি। আউট সোর্সি জনবল রয়েছে ৩৩১ জন। প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকেরও কম চিকিৎসক নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা মান যথাযথ রাখা অনেক কঠিন বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান প্রতিমাসে এ হাসপাতালে ৫শ’র বেশী ডেলিভারী রোগী ভার্তি হয়। যার মধ্যে আড়াই’শ এর বেশী সিজার হয়। এখানে লোবার ওয়ার্ড থেকে ওট্বি অনেক দূরত থাকায় রোগীদের নিয়ে চরম ঝুকিতে থাকতে হয় কতৃপক্ষকে। এখানে লেবার ওয়ার্ডের সাথে ওটি জরুরী প্রয়োজন বলে তিনি জানান। হাসপাতালে নেই কোন এ্যানেস্থেশিয়া মেশিন ও ওটি লাইট। তাই রোগীদের নিরাপদ সিজারের জন্য এদুটি মেশিন অতিব জরুরী বলে তিনি জানান। গত ২ সেপ্টেন্বর খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে জনবলের হালনাগাদ তথ্য প্রেরন করে জনবল পূরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহনের জন্য পত্র প্রেরন করেছেন। সেট আপ পুরন সহ অবকাঠামো উন্নয়ন হলে এ হাসপাতাল দেশের মধ্যে একটি মডেল হাসপাতাল হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে অবিলন্বে সেটআপ অনুযায়ী সকল শূন্যপদে জনবল নিয়োগের জোর দাবী জানিয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্থানীয়রা।