কয়রা সেতুতে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি

0
451

ওবায়দুল কবির স¤্রাট, কয়রা (খুলনা):
খুলনা সড়ক বিভাগাধীন বেতগ্রাম-তালাÑপাইকগাছাÑকয়রা সড়কের (জেডÑ৭৬০৪) ৫১তম কিলোমিটার অবস্থিত কয়রা সেতু উপজেলার সাথে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ও মাধ্যম। এই সেতু চালু হওয়ার পর অতি সহজে কম সময়ে খুলনা জেলা ,সাতক্ষীরা ,যশোর,জেলার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে।জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বেড়ে গেছে। সেতুতে থাকা যানবাহন ও যাত্রীদের অব্যাহত চাপ বেড়ে যাওয়ার সুযোগে অতিরিক্ত টোল আদায় করে চাঁদাবাজি করছে সড়ক বিভাগের অধীনে থাকা কর্মরত সড়ক বিভাগের কার্যসহকারী সবুর ও তার নেতৃত্বে থাকা কর্মচারীবৃন্দ। কিছু দিন আগে ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান টোল আদায় করত ।তারাও অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকত ।এমন অভিযোগ জানিয়েছেন মিডিয়াম ট্রাক ,৩/৪ চাকার মটোরাইড যান,নছিমণ ,অটোরিকসা চালকরা ।হাসান নামে পিকআপ চালক (ঢাকা মেট্রো টÑ১৩৭৮৫২)জানান,মিনি পিকআপ ২০ টাকা রেট ধার্য আছে ।কিন্তু আমাদের কাছ থেকে প্রতিবারই ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা আদায় করছে।এ বিষয়ে কথা বললে টোল আদায়কারীরা খারাপ আচরণ করে ।সরেজমিনে গেলে মিডিয়াম ট্রাক শমরেশ নামে এক চালকের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করতে দেখা যায় কর্মচারী মনিকে।মিডিয়াম ট্রাক প্রতিবার ৫০ টাকা থাকলে দেখা যায় চালকের কাছ থেকে ১০০টাকা হাতিয়ে নিতে। সাংবাদিক পরিচয়ে উপস্থিত হলে মিডিয়াম ট্রাককে হ্যাভী ট্রাক বানানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বাকি টাকা চালকে ফেরত দেন।এসময় মিডিয়াম চালক জানান,প্রতিনিয়ত আমাদের কাছ থেকে জোর করে দ্বিগুণ চাঁদা আদায় করে। কিছু বলতে পারি না আমাদের তো এই পথে আসতে হয় ।স্থানীয় নছিমন ও সিএনজি চালকরা জানান,নছিমণ ও সিএনজি অটোরিকসার জন্য ৫টাকা ধার্য থাকলেও তাদের কাছ থেকে প্রতিবারই ১০টাকা ও লোড বেশি থাকলে তার বেশি টাকা আদায় করছে।কোন কথা বললে স্থানীয় কর্মচারী খারাপ আচরণ করে থাকে। জানা যায় ,ট্রেইলার ১২৫ টাকা ,হেভী ট্রাক ১০০ টাকা ,মিডিয়াম ট্রাক ৫০ টাকা ,বড় বাস ৪৫ টাকা ,মিনিট্রাক ৪০ টাকা ,কৃষিযান ৪০ টাকা ,মিনিবাস কোস্টার ২৫ টাকা ,মাইক্রোবাস /প্রাইভেটকার ২০ টাকা,ফোর হুইলার যান ২০ টাকা ,সিডান কার ১৫ টাকা ,৩/৪ চাকার যান ৫টাকা ও মটরসাইকেল ৫ টাকা করে রেট ধার্য করে দিয়েছে খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ।কিন্তু এ রেট সড়ক বিভাগের অধীনে থাকা সড়ক বিভাগের কর্মচারী কার্যসহকারী সবুর তোয়াক্কা না করেই অতিরিক্ত হারে টোল আদায় করছে ।এতে করে প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চালক ও যাত্রীসাধারণ।এ ব্যাপারে টোল আদায় কারী সড়ক বিভাগের কার্যসহকারী সবুর অতিরিক্ত টোল আদায়ের কথা অস্বিকার করে বলেন টোল আদায়ে যারা দায়িত্বে আছে তারা সবাই বেতন ভুক্ত কাজ করেন। এখানে সবাই সরকারী রেট অনুযায়ী টোল আদায় করেন ।এ ব্যাপারে খুলনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাস বলেন,বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম ।খোঁজ Ñখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।