কয়রায় ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার’ পরিচয়ে মোবাইলে চাঁদা দাবি!

0
177

কয়রা প্রতিনিধি:
খুলনার কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে (০১৭১৩-১৬৬৬২১/ ০১৯১০-৫৪১৯৩৯) নম্বর থেকে স্থানীয়দের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে এ চাঁদা দাবি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তার পরিচয়ে প্রতারণা করে বিভিন্ন নম্বরে মোবাইলে ফোন করে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন সাথে সাথে তিথি সকলকে প্রতারক চক্রদের হাত থেকে সাবধান হতে সচেতনতা মূলক পোস্ট করেন। শুক্রবার (২ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি তিনি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। কয়রা উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা নুরুজ্জামান জানান, সকালে মোবাইল ফোনে কয়রা ইউএনও’ পরিচয় দিয়ে ইউনিয়নে কয়টা বেকারী ও মিষ্টির দোকান আছে এছাড়া বিভিন্ন বিষয় খোঁজ নেন। পরে তিনি মিষ্টির দোকানদারের কাছে ফোন ধরিয়ে দিতে বলে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে মামলা আছে বলে মীমাংসার (নাম কাটা) কথা বলে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। পরে তিনি সকল মিষ্টি ব্যবসায়ীদের ফোন ধরিয়ে দিতে বলেন। বিষয়টি আমার সন্দেহ হওয়ায় আমি ব্যবসায়ীদের টাকা দিতে মানা করি এবং সাথে সাথে গণেশ মেম্বরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জানাই। কয়রা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আসাদুল ইসলাম জানান, অল্প কিছুদিন আগে এই প্রতারক চক্রটি আমাকে সকল মিষ্টির দোকানদারদের ফোন ধরিয়ে দিতো বলতো। ভ্রাম্যমান আদালত ও মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি দরে। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই। জানা যায় প্রতারক চক্রটি উপজেলা, সদর, আমাদী, দক্ষিণ বেদকাশিসহ বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ইউএনও পরিচয় দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। কেউ কেউ তাদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে।
এরপরই নিজের নম্বরটি ক্লোনও হতে পারে জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সতর্কতামূলক পোস্ট করেন কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তবে তিনি কোনও লিখিত অভিযোগ দেননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতারক চক্রটিকে ধরতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে সাথে সাথে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস জানান, বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আমার পরিচয়ে মোবাইল ফোনে চাঁদা চাওয়া হয়েছে এমন তথ্য আমার কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে আসছে। চাঁদা পাঠানোর জন্য তাদের অন্য দু’টি পৃথক নম্বরও দেওয়া হয়। ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।