কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে নেতৃত্ব দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞের

0
276

খুলনাটাইমস ডেস্ক : বিশিষ্ট যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক কোভিড-১৯-কে সারাবিশ্বের নিরাপত্তার জন্য নজিরবিহীন হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে এর মোকাবেলার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে একটি সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বাসস-এর সাথে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস অভিশাপ- যা প্রতিঘণ্টায় প্রণহানি ঘটাচ্ছে- নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা প্রণয়নের জন্য একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মের অভাব রয়েছে।’ আরেফিন সিদ্দিক, সংকট মোকাবিলায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাম্প্রতিক ভার্চুয়াল সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের প্রশংসা করে বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) এ মহামারী মোকাবেলায় সম্পদ সংগ্রহে নেতৃত্ব দিতে পারে। তিনি বলেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে এ মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বরং এ মারাত্মক ভাইরাস মোকাবেলায় সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টা আবশ্যক। কিন্তু মারাত্মক কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর থেকে বিশ্ব বিভিন্নভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে, সীমানা সিল করে, বিমান চলাচল স্থগিত করে এবং বিভিন্ন শহর লকডাউন করে বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া থেকে ইউ-টার্ন নিচ্ছে। অধ্যাপক সিদ্দিক বলেন, ‘আমি মনে করি জাতিসংঘ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের এ মহামারী মোকাবেলায সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণে এগিয়ে আসা উচিত।’ তিনি বলেন, পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র জাতিসংঘকে কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে জাতিসংগের সকল সদস্য দেশকে এ ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাতে পারে। জাতিসংঘ এবং এর অন্যান্য বিশেষায়িত সংস্থার বিশাল নেটওয়ার্ককে যদি সঠিক উপায়ে কাজে লাগানো যায় তবে বিশ্বব্যাপী এ সংকট মোকাবেলা আরো সহজ হবে। সিদ্দিক বলেন, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)সহ বিশ্বের সকল দেশ এখন গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। তবে এই সঙ্কট পৃথকভাবে মোকাবেলা করা যাবে না। ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক সিদ্দিক মনে করেন, ‘আমরা বিশ্বকে মানচিত্রের মধ্যে বিভক্ত করলেও পৃথিবী অখন্ড। আমাদের, বিশ্ব নাগরিকদের এ গ্রহের কল্যাণে সম্মিলিত প্রচেষ্টার কথা ভাবা উচিত। সিদ্দিক বলেন, সার্ক দেশগুলো এ সংকট নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিত প্রচেষ্টার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আগামীতে কেবল এ মহামারী নয়, যে কোনো সম্ভ্যব্য সংকট মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসবে।