কেশবপুরে সড়কের নির্মাণ কাজে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

0
169

কেশবপুর প্রতিনিধি:
কেশবপুর পৌর এলাকার বলিয়াডাঙ্গায় দীর্ঘদিনের চলাচলের একটি সড়কের সংস্কার কাজে আদালত চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেছে। এতে কেশবপুর পৌরসভার মেয়রসহ ৪ জনকে বিবাদি করা হয়েছে। এক ব্যক্তির জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক ওই রাস্তা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, পৌর এলাকার বলিয়াডাঙ্গা র্প্বূপাড়া মসজিদের পাশ দিয়ে একটি সড়ক মাঠের দিকে চলে গেছে। এ রাস্তা দিয়ে একাধিক পরিবার চলাচল করে থাকেন। চলাচল করতে করতে তারা সড়কটি নিজেদের ব্যবহারের জন্য জোরপূর্বক দখল করে নেয়। কতিপয় কুচক্রী মহলের ইন্ধনে সুবিধাভোগীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সড়কটির আরসিসি ঢালাইকরণ কাজে পৌরসভা টেন্ডার আহবান করে। ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮১২ টাকা ব্যয়ে এ কাজের দায়িত্ব পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলমগীর এন্টারপ্রাইজ। তিনি গত ১২ মার্চ থেকে সড়কটির পুণসংস্কার কাজ শুরু করেন। এলাকার মোজাহার দফাদার জানান, আমার ভাই মজিদ দফাদার যে জমি দাবি করে আদালতে মামলা করেছে, সে জমি তিনি ৮ বছর আগে এলাকার ডাক্তার শাহাজান আলীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ জমির ওপর দিয়ে সড়কটি নির্মাণ হচ্ছে। সড়কটি তার পাড়ার ৪০/৫০ পরিবার ব্যবহার করেন। বাচ্চু দফাদার বলেন, মজিদ দফাদারের একটি টালির ঘরের জন্যে ১০টি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ রয়েছে। প্রায় সময় তারা রাস্তায় কাটা ও বেড়া দিয়ে চলাচলে বিঘœ ঘটায়। আব্দুল মজিদ দফাদার বলেন, আমার পৌতৃক জমি জোরপূর্বক দখল করে দীর্ঘদিন রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। পিছনে যারা বসবাস করেন তারা আমাকে ভয়ভিতী দেখিয়ে জমির টাকা না দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেছে। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এক জনের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মান করতে চাইছে যা বিতর্কিত। সম্প্রতি ওই রাস্তায় আমাকে কিছু না জানিয়ে পৌরসভা টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করে। নিরুপায় হয়ে গত ২৩ মার্চ ওই সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, সচিব মোশারফ হেসেন, সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা ও ঠিকাদার আলমগীর হেসেনকে বিবাদি করে বিজ্ঞ কেশবপুর সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা করা হয়েছে। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ আদালত অবমামনা করে সড়কটির নির্মাণ করেছে। কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,সড়কটি ১৬ বছর আগে ইটের সোলিংকরণ করা ছিল। এলাবাসির আবেদনের প্রেক্ষিতে রাস্তাটি করা হয়েছে। আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞার নোটিস তিনি পাননি বলে জানান।