কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্টের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

0
264

খুলনাটাইমস বিদেশ :কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রোর ভাই রাউল ক্যাস্ত্রোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন রাউল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ক্ষমতসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সচিবের বর্তমান দায়িত্বপালনকালেই তিনি হাজার হাজার কিউবানকে আটক করেছেন। তাদের মধ্যে শতাধিক রাজনৈতিক বন্দিও রয়েছে।২০০৮ সালে কিউবার অবিসংবাদিত নেতা এবং নিজের ভাই ফিদেল ক্যাস্ত্রোর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন রাউল ক্যাস্ত্রো। গত এপ্রিলে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর রাউল ক্যাস্ত্রোর স্থলাভিষিক্ত হন তার প্রধান সহযোগী মিগুয়েল ডিয়াজ কানেল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে অবসরে গেলেও ২০২১ সাল পর্যন্ত কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে থাকছেন রাউল। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রাউল ক্যাস্ত্রো আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তার খুব শিগগিরই সেখানে যাওয়ার কথাও ছিলো না। তবে এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তার সরাসরি পরিবারও এখন আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পাবে না। তার মেয়ে ম্যারিও ক্যাস্ত্রো এসপিন যিনি এইচআইভি সচেতনতা ও সমকামী অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছেন। তিনিও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন। এর আগে ২০১২ সালে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন তিনি।মাইক পম্পেও বলেন, রাউল ক্যাস্ত্রো ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র কিউবান ও ভেনেজুয়েলান নাগরিকদের অধিকারের প্রতি সচেতন। তাই্ এই কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তাদের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।১৯৬০-এর দশকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র-কিউবার মধ্যে সম্পর্ক শীতল হতে থাকে। এরপর প্রায় পাঁচ দশক ধরে দুই দেশের কূটনৈতিক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এ কারণে পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্কও নষ্ট হয়। পরে কিউবার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে মনোযোগী হয় ওবামা প্রশাসন। দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তিও হয়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর আবারও দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। গত বছরের জুনে ওবামা প্রশাসনের কিউবা নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।