কামারখোলা ইউনিয়ন নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

0
993
All-focus

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমস :
খুলনার দাকোপ উপজেলার কামারখোলা ইউনিয়ন নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা চলে যাচ্ছে অন্য স্কুলে।

স্কুলটি নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের অনেক অভিযোগ অথচ এলাকাবাসি একদিন স্বপ্ন দেখেছিল যে উক্ত স্কুলটি এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াবে। কিন্তু সে স্বপ্ন তাদের ভ্রান্ত হতে চলেছে এমনি অভিযোগ স্থানীয়দের। যেহেতু শিক্ষার্থীরা এ স্কুলে পড়ে তাই নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, স্কুল প্রতিষ্ঠার শুরুতে স্কুলে অনেক শিক্ষার্থী ছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার গোলদারের দুর্নীতির ও খারাপ আচরণের কারণে বহু শিক্ষার্থী অন্য স্কুলে চলে গেছে। তাদের অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, প্রধান শিক্ষক তার পরিবার নিয়ে স্কুল ভবনে বসবাস করেন। শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্কুলসহ পারিবারিক কাজ করিয়ে নেন। স্কুলে জেএসসি ও এসএসসি পরিক্ষায় শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত ফি’র দ্বিগুন অর্থ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়। নিয়োগকৃত শিক্ষক নন অথচ প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ও স্বপন নামের স্থানীয় এক যুবক পরিক্ষারকক্ষে ডিউটি পালন করেন। প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়লে সে শিক্ষার্থীকে পরিক্ষায় নম্বর কম দেওয়া হয়। এছাড়া তারা আরও অভিযোগ করে বলেন স্কুলে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রতিদিন সময়মত স্কুলে না আসায় এবং নিয়মিত ক্লাস না করায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার চরম ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয়রা বলেন স্কুল সংলগ্ন কালি মন্দিরের ৩৬ হাজার টাকা কমিটিকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছে। বারবার মৌখিকভাবে অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষককে অবহিত করতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তাদের অভিযোগের কোনো পাত্তা না দিয়ে উল্টো তাদেরকে শাসিয়েছেন বলে জানান।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুল প্রতিষ্ঠানটি একটি বসতভিটায় পরিণত হয়েছে। স্কুলের খেলার মাঠটি সবজি বাগান হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ভবনের ছাদে ধান শুকানো হচ্ছে। ঢুকেই দেখা যায়, প্রধান শিক্ষকের পরিবারের ব্যবহৃত পোশাক-পরিচ্ছদ স্কুল ভবনের নিচ তলায় টাঙ্গানো রয়েছে।

এ বিষয়ে কামারখোলা ইউনিয়ন নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার গোলদার মুঠোফোনে খুলনাটাইমসকে বলেন, স্কুলটি ২০০১ সালে স্থাপিত হয়। তখন ১২০ জন শিক্ষার্থী ও সাত জন শিক্ষক নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। স্কুলটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কেন কমে যাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেনি, বর্তমানে ১৬০ জন শিক্ষার্থী এ স্কুলে আছে বলে তিনি দাবী করেন। তার বিরুদ্ধে আনিত অন্যান্য দুর্নীতির কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন আমি একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বেতন না নিয়ে ফ্রিতে প্রাইভেট পড়াই। শর্তসাপেক্ষে ওই শিক্ষার্থীকে দিয়ে পরিবারের কিছু কাজ করিয়ে নিই।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মকর্তা সোহেল হোসেন খুলনাটাইমসকে বলেন, কামারখোলা ইউনিয়ন নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমার কাছে ওই এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।