করোনা আতঙ্কেও থেমে নেই নাটকের শুটিং

0
212

খুলনাটাইমস বিনোদন: দুই সপ্তাহে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশে। বিদেশ থেকে এসে দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে গেছেন অনেকেই। স্বভাবতই চারদিকে ভর করেছে আতঙ্ক। এরইমধ্যে রাষ্ট্রীয় ঘোষণায় স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে সিনেমা হল। অনেক সিনেমার মুক্তিও পিছিয়ে গেছে। বন্ধও হয়েছে সিনেমার শুটিং। তবে নাটকপাড়ার চিত্রটা ভিন্ন। এখানে নিয়মিতই চলছে শুটিং। যেখানে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণের হুমকিতে সেখানে কেন নাটকের শুটিং চলমান এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই বিষয়টি রয়েছে আলোচনায়। তবে এতে টনক নড়ছে না নাটকের সংগঠনগুলোর। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর উত্তরা, পুবাইল, গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, শ্রীমঙ্গলসহ আরও বিভিন্ন জায়গায় এখনও চলছে বিভিন্ন নাটকের শুটিং। আরও জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় ৫০টি ইউনিট নাটকের শুটিং করছে। সেইসব শুটিংয়ে জমায়েত হচ্ছে প্রায় ৩০/৪০ জনের মত টিম। কেউ কেউ স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহার করে সতর্ক থাকার চেষ্টা করলেও ঝুঁকি কমছে না মোটেও। কারণ শুটিংয়ে প্রতিনিয়তই লোক বাইরে যাচ্ছে এবং বাইরে থেকে ইউনিউটে আসছে। আউটডোর শুটিংয়েংর বেলায় ঝুঁকিটা আরও বেশি। কারণ শুটিং দেখে উৎসাহীরা চারদিকে ভিড় করেন। সিনেমা পাড়ায় ভাইরাস আতঙ্কে সচেতনতা অবলম্বন করে অধিকাংশ শুটিংই বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু নাটকের শুটিং এখনও চলছে। তবে কি এমন মহামারী ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেও চলবে শুটিং? নাকি এরমধ্যে নতুন কোন ঘোষণা আসবে নাটকের শুটিং বন্ধের? ১৮ মার্চ দুপুরে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি নিজেও শুটিং করছেন। শট শেষে কলব্যাক করে শিল্পীদের এই নেতা বলেন, ‘করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়েই মন্দ প্রভাব ফেলেছে। আমাদেরও সাবধান হওয়া উচিত। যেহেতু সরকারি কোনো ঘোষণা আসেনি তাই কিছু নাটকের শুটিং চলছে। এখানে অনেক প্রান্তিক মানুষেরা কাজ করে খায়। পেটের দায় তো আছেই। তবে যে বা যারা এই সময়ে কাজ করতে চান না তাদের নিশ্চয় জোর করা হবে না। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে শুটিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিইনি এখনো।’ এদিকে ডিরেক্টর গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু ও সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সাড়া মেলেনি। খুব দ্রুতই শুটিং বন্ধের কোনো নির্দেশনা আসবে বলেও কোনো আভাস পাওয়া গেল না কোনো সংগঠন থেকে। উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত আড়াই মাসে বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কিছুটা কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে এর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সোমবার পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ১৬৪ জন। অপরদিকে ৭৯ হাজার ৮৮১ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৮২ হাজার ৫৫০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে পরীক্ষা করার পর বাংলাদেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। যার সবই বিদেশফেরত ও তাদের দ্বারা সংক্রমিত হয়ে।