কপিলমুনিতে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহন : অভিভাবকমহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া

0
488

শেখ নাদীর শাহ্,কপিলমুনি থেকে: চলতি ২০১৯ সালের এস,এস,সি পরীক্ষায় কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (কেন্দ্র কোড ৪৫১) বাংলা ১ম পত্রের নৈব্যর্ত্তিক পরীক্ষাতে ২০১৯ সালের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৮ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক,ঘটনার শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলেও এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিব থেকে শুরু করে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
কপিলমুনির কাশিমনগরস্থ কে,আর,আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অভিযোগ পত্রে জানানো হয়েছে যে, তার কে, আর, আর মাধ্যমিক বিদ্যালের একজন জন মেধাবী শিক্ষার্থী সুমন কুমার দাশ,পিতা দিলীপ দাশ,কাশিম নগর,পাইকগাছা, খুলনা রোল নং-২৮৭৯৯২ ও রেজিঃ নং -১৬১৩৬২৩৫৬১ কে কক্ষ পরিদর্শক ২০১৯ সালের প্রশ্নের পরিবর্তে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ায় এখন কোমলমতি ঐ পরীক্ষার্থী রীতিমত বিপাকে পড়েছে।
এদিকে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন যে, নীতিমালা উপেক্ষা করে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন হরিদাশ কাটী বেগম জালাল উদ্দীন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলাম। কেননা,তার বিদ্যালয়ের মেয়েরাও ঐ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে তিনি উপস্থিত থেকে তার মেয়েদের সুযোগ দিতে পারেন।
এব্যাপারে কেন্দ্র সচিব মো: শহীদুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,পরীক্ষার ৪ দিন পরে ঐ পরীক্ষার্থী বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক বিষয়টি তারা বোর্ড কন্ট্রোলারকে জানিয়েছেন। তবে পুরনো প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে তারা পরীক্ষা পরিদর্শক কিংবা হল সুপারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আর পরীক্ষার্থীর বিষয়ে যেখানে বোর্ড দেখছে,সেখানে সমস্অযা কিসের?
এদিকে এলাকাবাসীর পাশপাশি শিক্ষকদের দাবি,কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলা কিংবা কোন ভূল বা অন্যায় করলে তার জন্য ঐ কক্ষের পরিদর্শক দায়ী। তার জন্য বোর্ড কেন দায়িত্ব নিতে যাবে। এব্যাপারে তারা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্ধতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।