কপিলমুনিতে পিসিএল সমিতির বিরদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

0
752

কপিলমুনি প্রতিনিধিঃ
কপিলমুনিতে পিসিএল সমবায় সমিতির বিরদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি লিটন পরিষদের দুর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, বিলাসবহুল জীবন যাপন ও লড স্টাইলে চলন বলন নিয়ে সমিতির সদস্যদের মধ্যে সন্ধেহের দানা বেঁধেছে। ইতিমধ্যে সমিতির টাকায় নিজনামে বেনামে সম্পত্ত্বি ক্রয়ের ঘটনাও ফাঁস হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রাহকের সঞ্চয়কৃত কোটি কোটি টাকা আতœসাৎ পুর্বক বহিরাগমন হবার বিষয় নিয়ে চলছে নানামুখী সমালোচনা ঝড়। এ বিষয়ে অতিদ্রুত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।
সূত্র মতে জানা যায়, খুলনা জেলা সমবায় অফিসের নিবন্ধন নিয়ে পপুলার হেল্থ এডুকেশান সঞ্চয় ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি সমবায় সমিতি নামকরণে পাইকগাছার কপিলমুনিতে কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। যার রেজিষ্ট্রেশন নং ৯৩কে/১৪। পরবর্তীতে নিবন্ধন উপ-আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে বিগতদিনের নাম পরিবর্তন করে পি সি এল নামে আতœপ্রকাশ ঘটিয়ে এলাকার নিরীহ জনসাধারণকে আকৃষ্ট করে অল্পদিনেই লিটন সমিতির ব্যাপক টাকার ফান্ড আয়ত্ব করে। আরো জানা যায়, বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার গ্রাহক এ সমিতির অধিনে সঞ্চয় জমা দিচ্ছেন। যার মধ্যে থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে লিটন নিজেদের নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্ত্বি ক্রয় করেছেন। এমতাবস্থায় উক্ত সমিতিতে গ্রাহকের সঞ্চয়কৃত টাকা আদৌ ফেরৎ পাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহের দানা বেঁধেছে গ্রাহকের মাঝে। আর এ সব টাকা দিয়ে রাজকীয় কায়দায় চলছে লিটন সহ সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে সমিতির মাসিক কালেকশনের বৃহৎ অংশের টাকা দিয়ে নিজনামে সম্পত্ত্বি ক্রয়, পিসিএল নামে আলাদা প্রতিষ্ঠান করে সেখানে সমিতির পুঁজি বিনিয়োগ করে সেচ্ছাচারিতা ও বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে বিভিন্ন সময় সমিতির আভ্যান্তরিন দ্বন্ধ প্রকাশ্যে চলে আসলে ফাঁস হয়ে পড়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতি। সূত্রমতে জানাযায়, লিটন তাদের একক আধিপত্য বিস্তারে সমিতির টাকা দিয়ে সব কিছুই ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে রাজকীয় ভাবে জীবনযাপন করে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে, সমিতির নামে নামমাত্র ব্যাংক একাউন্ট চললেও গ্রাহকের সঞ্চয়ের টাকা নিজেদের একাউন্টে জমা বা সরবরাহ করে আসছে তারা। এদিকে নিবন্ধিত আইনে এফডিআর করার নিয়ম না থাকলেও সেখানে এফডিআর করে বিপুল পরিমান টাকা আয়ত্ব করছে তারা। একইভাবে সমিতির অধিনে ব্যাংকিং কায়দায় ডিপিএস করার নিয়ম না থাকলেও সমবায় সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে লিটন পরিষদ অনিয়মের মাধ্যমে ডিপিএস এর লাখ লাখ টাকা খরচ করে দামী গাড়ী, দামী মোবাইল সহ রাজকীয় বিলাসিতা করে চলেছে । সুত্র মতে, সম্প্রতি প্রায় ২২লক্ষ টাকা আলমারী ভেঙ্গে চুরি হয়েছে মর্মে খাতায় লিপিবদ্ধ করলেও বিষয়টি রহস্যজনক ভাবে তা সম্পূর্ণ কাকতালীয়। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে পড়বে লিটন পরিষদের জাল জালিয়াতি সহ কোটি কোটি টাকার ফান্ড তছরুপের নানা অজানা কাহিনী।
এ ব্যাপারে মুঠো ফোনে লিটনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, এক শ্রেণীর কিছু ব্যাক্তি বিশেষ আমার বিরোধীতা করে অপ-প্রচার ছড়াচ্ছে। আমি এ সংক্রান্ত বিষয় একটি প্রতিবাদ দিয়েছি। তবে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম এর বিষয় জানতে চাইলে তিনি কৌশলে অনেক বিষয় এড়িয়ে যান। সর্বশেষ এ বিষয়ে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন গ্রাহক, এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।