এম জে ফরাজী :
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বলে অভিযোগ করেছেন খুলনার ১৪ দল নেতৃবৃন্দ। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. খালিদ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি নন; তিনি একজন সংসদ সদস্য, ১৪ দলের মতো একটি মাল্টি অর্গানাইজেশনের সমন্বয়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার পিতা আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। এমপি মিজানর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কতিপয় ব্যক্তি নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী, জমি দখলকারী এমনকি চোরাচালানী বানাতেও বাদ দেয়নি। ওই সকল ষড়যন্ত্রকারীদের মিথ্যে অপপ্রচার খুলনার মানুষ গুরুত্ব দেয়নি। তখন তারা দুদকে নামে বেনামে এমপি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। একই সাথে ভুল বুঝিয়ে সাংবাদিকদের অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ করাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন খুলনা সিটি নির্বাচনে ১৪ দলর মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এর বিজয় নিশ্চিত জেনে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র আবারও ষড়যন্ত্র করছে। তারা নানা ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেকারণেই ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশের জন্য তিনি খুলনার সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এমপি বলেন, আমার বিরুদ্ধে বেনামে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে। যার কোন সত্যতা নেই। আমি দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে আমার সব সম্পদের হিসাব দিয়েছি। ঢাকায় আমার কিছুই নেই, আমি ন্যাম ভবনে থাকি। আসন্ন সিটি নির্বাচন নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছে। কেসিসি নির্বাচন আমাদের প্রার্থীর বিজয়ের মাধ্যমে এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
নগর আওয়ামী লীগ কোন অভ্যন্তরীণ কোন্দল নেই দাবি করে এমপি মিজান বলেন, জাতীয় নির্বাচনে কে দলীয় মনানয়ন পাবেন তা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিষয়। যাতে খুলনার মানুষ ভাল থাকতে পারে আমি সর্বদা সে বিষয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। এছাড়া মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করায় ইতোমধ্যে কালের কণ্ঠের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
সাংবাদিকদর অপর এক প্রশ্নের জবাবে নগর আওয়ামী লীগর সভাপতি ও কেসিসি নির্বাচনে আ’লীগের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, খুলনা নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব বা কোন্দল নেই। তার প্রমাণ সিটি নির্বাচনে আমার মনোনয়ন। আমি মনোনয়ন না চাইলেও তারা আমাকে মনানয়নের জন্য সুপারিশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। খুলনার আওয়ামী লীগের নেতারাও মাদককে প্রশ্রয় দেন না। একজন রাজনৈতিক নেতার সারাজীবনের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে একটি মাত্র ভুল সংবাদ। সুতরাং সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিকদের আরও সতর্ক ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
সংবাদ সম্মলন ১৪ দল নেতাদর মধ্যে ছিলেন জাসদের রফিকুল হক খোকন, ওয়ার্কার্স পার্টির দেলোয়ার হোসেন দিলু, জাকের পার্টির সাদের আলী সাদেক, ন্যাপের এ্যাড. তৌহিদুর রহমান, জেপি’র এ্যাড. আব্দুল মজিদ, মাশারফ হোসেন হাওলাদার, সাম্যবাদী দলের এফ এম ইকবাল হোসেন, সালমান হাওলাদার, অধ্যাপক এম এ আলম, মফিদুল ইসলাম, আ’লীগ নেতাদের মধ্যে ছিলেন হায়দার আলী, শ্যামল সিংহ রায়, মুন্সি মাহবুব আলম সাহাগ, জেড এ মাহমুদ ডন, মফিদুল ইসলাম টুটুল, এ্যাড. আনিসুর রহমান পপলু, হাফেজ মো. শামীম, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, মানিকউজ্জামান অশোক, আসাদুজ্জামান রাসেল প্রমুখ।