একবছর আগের বিরোধের জেরে কিশোর খুন

0
221

খুলনাটাইমস: গত বছরের আশুরার দিনের মারধরের প্রতিশোধ নিতে এ বছরের আশুরার দিন সকালে চলে মারধর। এর জেরে বিকেলে প্রতিপক্ষের পাল্টা হামলায় খুন হয় কিশোর মুন্না (১৮)। রোববার বিকেলে রাজধানীর ওয়ারী থানার চন্দ্রমোহন বসাক স্ট্রিটের রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দিরের কাছে ছুরিকাঘাতে খুন হয় মুন্না। এ ঘটনায় চারজন প্রাপ্তবয়স্কসহ মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন- বাপ্পী (২৩), মো. ফেরদৌস (১৮), জিসান (১৯) ও লাবিব (১৮)। বাকি ১৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ। তিনি বলেন, গত বছরের আশুরার দিনে কথা কাটাকাটির জেরে মুন্না, তার বন্ধু বিজয়সহ কয়েকজনকে মারধর করে বাপ্পী, সায়েম ও ফেরদৌসরা। এ বছর আশুরার দিন সকালে গত বছরের প্রতিশোধ নিতে সায়েমদের মারধর করে বিজয়-মুন্নারা। পাল্টা প্রতিশোধ নিতে বেপরোয়া হয়ে বিকেলে বাপ্পী এবং সায়েমরা আবার সংগঠিত হয়ে মুন্না ও তার বন্ধুদের মারধর করে। এতে মুন্না নিহত হন। ডিসি শাহ ইফতেখার বলেন, ৩০ আগস্ট গোবিন্দ জিউ মন্দিরের কাছে মুন্না ও শাহিনকে (১৭) কয়েকজন মিলে চাকু ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করা হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুন্নাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শাহিন গুরুতর অবস্থান ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও সংকটাপন্ন। এ ঘটনায় মুন্নার বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ৩১ আগস্ট ওয়ারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকাÐে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ডিসি ওয়ারী আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা অধিকাংশই কর্মজীবী কিশোর। প্রায় এক বছর আগে গ্রেফাতারকৃত বাপ্পী ও ভিকটিম মুন্নার সঙ্গে শরীরে ধাক্কা নিয়ে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঝগড়া শক্রতায় রূপ নিয়ে প্রতিশোধ নিতেই গ্রেফতারকৃরা মুন্না ও শাহিনকে মারধর করে। সংশ্লিষ্টরা জানান, আসামিদের মধ্যে বাপ্পী, ফেরদৌস এবং সায়েম ঘটনার সময় মুন্নাকে চাকু এবং লোহার রোড দিয়ে আঘাত করে। বাকিরা সহযোগী হিসেবে ছিলেন।