ঈদে স্পেশাল সার্ভিস পরিচালনা করবে বিআরটিসি – মহাসড়ক বিভাগের সচিব

0
510

তথ্য বিবরণী: প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঈদে স্পেশাল সার্ভিস পরিচালনা করবে বিআরটিসি। এবারে বিআরটিসি’র বহরে আরো দেড় শতাধিক নতুন ক্রয়কৃত বাস যুক্ত হবে। এছাড়া কোথাও যানজট কিংবা পরিবহনের সংকট দেখা দিলে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিআরটিসি’র অতিরিক্ত বাস প্রস্তুত রাখা হবে। গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে এক প্রস্তুতি সভায় এসকল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভাশেষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগের তিনদিন সড়ক-মহাসড়কে ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ঈদের আগের সাতদিন এবং পরের পাঁচদিন সারাদেশে সিএনজি স্টেশনগুলো চব্বিশ ঘন্টা খোলা রাখার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হবে। জনগণের ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে সকল শ্রেণির মহাসড়ক ঈদের সাতদিন আগে চলমান মেরামতকাজ শেষ করা হবে। সড়ক-মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধে বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট কার্যকর থাকবে। তাছাড়া অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সড়ক-মহাসড়ক অপেক্ষাকৃত ভাল। তাই এবার ঘরেফেরা মানুষের যাতায়াত অধিকতর স্বস্তিদায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ব্রিফিং-এ সচিব জানান, যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর টার্মিনালগুলোতে বিআরটিএ’র ভিজিল্যান্স টিম কার্যকর থাকবে। ঈদের আগের দিন যাত্রীদের অধিক চাপ নিয়ন্ত্রণে গার্মেন্টসসমূহ ধাপে ধাপে ছুটি দেয়ার জন্য বিজিএমইএ’কে অনুরোধ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ঈদের আগে তিনদিন ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকলেও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, পঁচনশীল দ্রব্য, ঔষধ এবং জ্বালানি বহনকারী যানবাহনসূহ এর আওতামুক্ত থাকবে ঈদের সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘœ রাখতে টোলপ্লাজাসমূহের সকল বুথ চালু রাখা হবে। কঠোরভাবে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা এবং সকল শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বিআরটিএ’র চেয়াম্যান মো. মশিয়ার রহমান ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ পুলিশ ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, হাইওয়ে পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক এবং ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য অংশীজন সভায় উপস্থিত ছিলেন।