ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদ ৩ দিনের রিমান্ডে

0
199

টাইমস ডেস্ক:
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের গ্রেপ্তার দেখানো-পূর্বক সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর এ বিষয় শুনানির জন্য গতকাল বুধবার দিন ধার্য করেন। গত রোববার রাতে সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রোববার রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ভোরে এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় সোমবার দুপুরে ইরফানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ ছাড়া পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়। বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে সোমবার হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের একদিন ও গত মঙ্গলবার এরফানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবি সিদ্দিকী দিপুর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা: এদিকে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে আরও দুটি মামলা করেছে র‌্যাব। একই আইনে তার দেহরক্ষী মো. জাহিদের বিরুদ্ধেও পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর চকবাজার থানায় দুইজনের মোট ৪টি মামলা এন্ট্রি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে চকবাজার থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার। এদিকে মামলার বিষয়ে গত মঙ্গলবার র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে বিভিন্ন অনুমোদনহীন জিনিস উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে অবৈধ বিদেশি অস্ত্র, এয়ারগান, বেশকিছু বিদেশি মদ, ইয়াবা, ৩৮টি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।