ইভিএম-এ ‘শূন্য গণনা’র প্রমাণ দেখিয়ে দেখিয়ে শুরু হবে ভোট

0
592

খুলনাটাইমস: সনাতন পদ্ধতিতে নিয়ম অনুসারে ব্যালট বাক্স খালি দেখিয়ে ভোট শুরু করা হয়। কিন্তু ইভিএম সিস্টেমে ব্যালট বাক্স নেই, তাই খালি বাক্স দেখানোর সুযোগও নেই। এজন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট শুরুর আধা ঘণ্টা আগে ইভিএম-এর ক্ষেত্রে ‘শূন্য ভোট’ গণনার কাগজ প্রিন্ট করা হবে। সেই ‘শূন্য গণনা’র প্রমাণ দেখিয়ে তারপর প্রত্যেক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম এই তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইভিএম সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এসব তথ্য জানান তিনি। এর আগে সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএমসহ নির্বাচন পরিচালনা সামগ্রী পাঠানোর কাজ শুরু হয়। উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বলেন, আমরা শতভাগ প্রস্তুত। সকাল থেকেই কেন্দ্রে মালামাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উত্তরে একটি ঘটনা ছাড়া কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উত্তরের কেন্দ্রগুলোতে ১৫ হাজার ৭০০টি ইভিএম মেশিন পাঠানো হয়েছে। এখানে বুথের সংখ্যা ৭ হাজার ৮৫০টি। প্রতিটি বুথে ২টি করে ইভিএম থাকবে। উত্তরের ১ হাজার ৩১৮ কেন্দ্রের মধ্যে ৮৭৬টি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলি না, আমরা বলি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। উত্তরে মোট কেন্দ্র হলো ১ হাজার ৩১৮টি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ৮৭৬টি। সাধারণ কেন্দ্র ৪৪২টি। দুই ধরনের কেন্দ্রের মধ্যে কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই। সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে থাকবেন ১৮ জন। এছাড়া র‌্যাব, বিজিবি, নির্বাহী, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। আমরা ঢাকা শহরকে নিরাপত্তার চাদরে জড়িয়ে ফেলেছি। আমাদের ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে এসে ভোট দেবেন। তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম সম্পূর্ন ইভিএম-এ নির্বাচন হচ্ছে। আমি অনুরোধ করবো, সবাই যেন ভোট দিতে আসেন। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের উৎসব। এই উৎসব আমরা কিছুতেই মলিন হতে দেবো না। শুধু প্রিজাইডিং অফিসার এবং কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন বলেও জানান তিনি। ভোট শুরুর প্রসঙ্গে মো. আবুল কাসেম বলেন, ভোট শুরুর আধা ঘণ্টা আগে ইভিএম থেকে ভোটের কাউন্ট প্রিন্ট করে দেখানো হবে। তারপর যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে।