ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ১

0
273

খুলনাটাইমস বিদেশ:ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ মালুকুতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত এক ব্যক্তি নিহত ও বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে,গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোরে অনুভূত এ ভূমিকম্পটিকে প্রাথমিকভাবে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল, কিন্তু এর মাত্রা ৬ দশমিক ৫ ছিল বলে পরে জানিয়েছে দেশটির জিওফিজিক্স এজেন্সি।ভূমিকম্পটির উৎপত্তি প্রাদেশিক রাজধানী আমবোন থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বলে দেশটির দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ ভূমিকম্পে সুনামির সম্ভাবনা নাকচ করেছে জিওফিজিক্স এজেন্সি। ভূমিকম্পের সময় আমবোনের ঘুমন্ত বাসিন্দারা জেগে ওঠে। আতঙ্কিত অবস্থায় বাইরে বের হয়ে সুনামির শঙ্কায় তারা পাহাড়ের দিকে ছুটে যায়।রয়টার্সের হয়ে কাজ করা প্রত্যক্ষদর্শী ক্যামেরাম্যান বেনি বুগিস জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার একটি অংশ ভেঙে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। বুগিস জানিয়েছেন, একটি গাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ভবনের একটি দরজা দিয়ে প্রবেশ করার সময় ভেঙে পড়া ধ্বংসস্তূপ ওই ব্যক্তির ওপর এসে পড়লে তিনি মারা যান। এ সময় আরও দুই জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।আমবোনের দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা আলবার্ট সিমায়েলা ওই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সুনামির ভয়ে শহরের প্রায় সব বাসিন্দা পাহাড়ের দিকে ছুটছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।রয়টার্সকে তিনি বলেন, “মোটরসাইকেলে করে, গাড়িতে চড়ে ও পায়ে হেঁটে প্রত্যেকেই পাহাড়ের দিকে ছুটছেন। রাস্তায় জ্যাম লেগে গেছে। শহর একেবারে শান্ত কারণ সবাই চলে গেছে। সুনামি হবে না এমন খবরের পরও লোকজনের শঙ্কা কাটছে না।”সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আসা ভিডিও ফুটেজে, আল আনসার ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের মেঝেতে খসে পড়া প্লাস্টার, ভেঙে পড়া বিভিন্ন টুকরাটাকরা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এখানে কারো আঘাত পাওয়ার কোনো খবর হয়নি বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। আরেকটি ভিডিওতে একটি গাড়ির শোরুমের ভেঙে পড়া গ্লাস ও ভবনে বড় ধরনের ফাটল দেখা গেছে।বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারের (প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা) ওপর অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। গত বছর মালুকুর পশ্চিমে সুলাওয়েসি দ্বীপে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে পালু শহর বিধ্বস্ত হয়। ভূমিকম্পের পর শহরটিতে সুনামি আঘাত হানে। এতে চার হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সাগরের তলদেশে সংঘটিত এক ভূমিকম্পে পর সৃষ্ট সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলজুড়ে ১৪টি দেশের দুই লাখ ২৬ হাজার লোক নিহত হয়েছিল, তাদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার জন ছিল ইন্দোনেশিয়ার।