ইথিওপিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় ৫৪ জন নিহত

0
203

টাইমস বিদেশ:
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইথিওপিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের অস্থিতিশীল এলাকা ওরোমিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান। রোববার রাতে গাওয়া কোয়াঙ্কা নামের গ্রামটিতে এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, সশস্ত্র এ হামলার পেছনে দায়ী অরমো লিবারেশন আর্মি (ওএলএ)। হামলার সময় আশপাশের বনে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জাতিগত সংঘাত দমনের জন্য গত বছর নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইথিওপিয়ান প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের ওপর চাপ প্রয়োগই এই হামলার উদ্দেশ্য। ইথিওপিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (ইএইচআরসি) জানায়, ওই হামলায় অংশ নিয়েছিল প্রায় ৬০ জন হামলাকারী। সংস্থাটি আরও জানায়, ‘আমহারা’ নামের আদিবাসী গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়। হত্যার আগে ওই ব্যক্তিদের ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি স্কুলে। সেখানেই নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। সোমবার ওরোমিয়ার স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, অপরাধীরা ওএলএ’র সদস্য। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইথিওপিয়ার পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে অপহরণ ও বোমা হামলার অভিযোগ রয়েছে। রবিবারের হামলার সময় প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ধরে নিয়ে গিয়ে তারা আমাদের ওপর গুলি চালায়। তারপর তারা গবাদিপশু লুট করে বাড়িঘরে আগুন দিয়ে যায়। আমি ৫০টিরও বেশি মরদেহ গুণেছি এবং আমি জানি বুলেটের আঘাতে জর্জরিত আরও অনেকগুলো দেহ সেখানে ছিল।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সেখান থেকে সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ নজরদারি প্রত্যাহার করা হয়। এর পরপরই এ ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, এই হামলায় সন্দেহভাজন ওলএ গোষ্ঠী কয়েক হাজার সদস্য নিয়ে গঠিত বলে ধারণা করা হয়। ৬ বছর নির্বাসিত থাকার পর ২০১৮ সালে দেশে প্রবেশের অনুমতি পায় তারা।