ইডেন টেস্টের জন্য পৃথিবীর ব্যস্ততম মানুষ ছিলাম : গাঙ্গুলী

0
275

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দিবা-রাত্রির টেস্ট সফল করতে গেল তিন সপ্তাহ ধরে ব্যস্ততার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন দ্য বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী। কতটা ব্যস্ত ছিলেন আজ ইডেনের টেস্ট শেষে তার চোখ-মুখে তা ফুটে উঠেছিলো। আর সেই মনের ভাব প্রকাশ করতে মুখে ফুটে নিজের অভিমত জানালেন গাঙ্গুলী। বাংলাদেশ-ভারত ইডেন টেস্ট শেষ সম্প্রচার চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাঙ্গুলী বলেন, ‘আমি মনে হয় পৃথিবীর ব্যস্ততম মানুষ ছিলাম।’ বিসিসিআই’র ৩৯তম সভাপতি হিসেবে গত ২৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক গাঙ্গুলী। দায়িত্ব নিয়েই নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। দায়িত্ব নেয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ থাকায় বড় চমক নিয়ে হাজির হন গাঙ্গুলী। আর সেটি হলো, কলকাতার ইডেনেই ভারত ও বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট আয়োজনের কথা জানান তিনি। শুধুমাত্র টেস্ট আয়োজন করেই ক্ষান্ত থাকবেন না গাঙ্গুলী। রিতিমতো তাক লাগিয়ে দেয়ার মত পরিকল্পনা কষেন তিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে টেস্টের উদ্বোধনের সিদ্বান্ত নেন গাঙ্গুলী। সাথে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া ২০০০ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের সকল খেলোয়াড়কে আমন্ত্রন জানিয়ে তাদের সংবর্ধনা দেয়া, ভারতের সাবেক অধিনায়কদের মাঠে এনে সম্মান দেয়া ছাড়াও আরও অনেক পরিকল্পনা হাতে নেন গাঙ্গুলী। যেমন চিন্তা-ভাবান, ঠিক তেমনই কাজ। ২২ নভেম্বর ইডেনে শুরু হওয়া টেস্টর প্রথম দিনই নিজের পরিকল্পনার সবকিছুকে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন গাঙ্গুলী। এই পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবে রুপ দিতে কতটা যে ব্যস্ত ছিলেন, তা নিজেই জানিয়েছেন ভারতের সফলতম অধিনায়কদের একজন। তবে ব্যস্ততাকে বড় করে দেখছেন না গাঙ্গুলী। সুন্দরভাবে ইডেন টেস্ট শেষ করতে পেরেছেন এবং মাঠে দর্শকদের আনতে পারাকেই সফলতা হিসেবে দেখছেন তিনি, ‘এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে, এতদিন দম ফেলারও সুযোগ পাইনি। ইডেনে খেলা দেখার জন্য প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। এতেই আমি খুশি। খেলা তিন দিনে শেষ হয়ে গেল ঠিকই, তবে চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের টিকিটও বিক্রি হয়ে গিয়েছিল আগেই।’ ইডেনে খেলোয়াড় হিসেবে অনেক কীর্তি গড়েছেন গাঙ্গুলী। এবার বোর্ডের প্রধান কর্তা হিসেবে দিবা-রাত্রির টেস্ট আয়োজন করে, নিজেকে আরও বড় উচ্চতায় নিয়ে গেলেন গাঙ্গুলী। ভবিষ্যতেও আরও ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন গাঙ্গুলী। তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্টে টানা পাঁচদিন ইডেন ভর্তি ছিল। আমার দৃড় বিশ্বাস শুধু কলকাতা নয়, মুম্বই-চেন্নাই-ব্যাঙ্গালুরু যেখানেই ভারত খেলবে, সেখানেই ক্রিকেট দলের খেলা দেখার জন্য মানুষ আসবেন। আর কেনই-বা আসবেন না তারা। এই দলে রয়েছে বিরাট কোহালি, আজিঙ্কা রাহানে, মোহাম্মদ শামি, চেতেশ্বর পূজারার মতো ক্রিকেটাররা আছেন। আসলে খেলোয়াড়রাই আসল। তাঁরা খেলে বলেই স্পোর্টস জনপ্রিয় হয়। প্রশাসকরা শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের কাজটা সহজ করে দিতে পারে।’