ইউএনও’র ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে মোরেলগঞ্জের চিত্র

0
74

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ’ খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ একটি উপজেলা।ইংরেজ মোরেল পরিবারের নামে নামকরণ হয় এই উপজেলার। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ লোকের বসবাস এখানে।১৬ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে এই উপজেলা গঠিত। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি এই উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে এস এম তারেক সুলতান যোগদানের পর তার দক্ষতায় প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছে দেশের সর্বদক্ষিনে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে স্হান করে নেয়া মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের চিত্র। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে মোরেলগঞ্জ উপজেলাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়েছেন সরকারের মাঠ প্রশাসনের এই কর্মকর্তা। অবকাঠামো উন্নয়নসহ সার্বিক কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা। জনসেবার মানও বেড়েছে। প্রশাসনিক কাঠামো হয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী। জনপ্রতিনিধিদের কর্মকান্ডে বেড়েছে স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও জবাবদিহিতা। দীর্ঘদিনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বেড়াজাল ছিন্ন করে উপজেলা পরিষদকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাওয়া বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম তারেক সুলতান ৩৪তম ব্যাচের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও সুনামের সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। মোরেলগঞ্জ উপজেলার সকল অফিসের সেবার ব্যাপারে তিনি খুব সোচ্চার থাকেন এবং সকল বিভাগের সাথে সুন্দর সমন্বয় সাধন করেন।প্রত্যেক বিভাগের কর্মকর্তাদের নিকট তিনি একজন সৎ আদর্শবান কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তার বিভিন্ন শিক্ষাবান্ধব কর্মকান্ডের জন্য সকল পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরাও তাকে খুবই পছন্দ করেন। তার কর্মকান্ডে শিক্ষায় এসেছে ব্যাপক গতিশীলতা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি শিক্ষার মানউন্নয়ন বৃদ্ধি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে ব্যাপক গুরুত্বারোপ করেন।
খুলনা রুপসা উপজেলার সন্তান,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এস এম তারেক সুলতান সরকারিভাবে ইউরোপের কয়েকটি দেশ ভ্রমন করেছেন,বিদেশে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি তিনি বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেছেন, এই উপজেলায় যোগদানের পরে তিনি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি শিক্ষায় পারদর্শী করে তুলতে ( ঊহমষরংয ষধহমঁধমব ঈষঁন) চালু করেছেন। মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিস্টানে কর্মচারী নিয়োগের সচ্ছতা ফিরিয়ে এনেছেন। এছাড়া অফিস চলাকালীন সময়ে তার অফিসের সেবার দরজা সবসময় সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড জনগণের নিকট সবসময় তুলে ধরেন। এসডিজি ও ভিশন -২০৪১ অর্জনে উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা- কর্মচারী সবাইকে নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের এ কর্মকর্তা, তার মাধ্যমে সরকারের নির্বাচনী অঙ্গিকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে উপজেলাবাসীর বিশ্বাস। স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র,ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয়, ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয়, স্হানীয় এলাকাবাসী ও উপজেলা কর্মকর্তা-কর্মচারী সূত্রে জানা গেছে, তার সততা ও নিষ্ঠার কারণে মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাণ ফিরে পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপ মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে। ফলশ্রুতিতে তার দক্ষতা ও যোগ্যতা সবার নজর কেড়েছে। সভ্য সমাজ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মাদকমুক্ত, যৌতুক, বাল্যবিয়েসহ যৌন হয়রানি রোধে সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়ন ও দায়িত্ব তদারকি করে থাকেন তিনি। তার উদ্যোগেই মোরেলগঞ্জ উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি বেশকিছু বাল্যবিবাহ বন্ধ করছেন। এছাড়াও, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন সমস্যার সমাধানসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। যেখানে এসে মানুষ হয়রানির বদলে দ্রুত কাজ সমাধান করতে পারছেন। ইউএনও’র হস্তক্ষেপে জনসেবার মান বেড়েছে তেমনি তাদের নানা কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা।
উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার জানান, বর্তমান ইউএনও সরকারি আইনের বাইরে কোন কাজ করেন না। তিনি সরকারি নীতিমালার আলোকে জনকল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি অত্যন্ত সম্মান করেন। স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক জানান, তার অফিসে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নির্ভয়ে যাতায়াত করে সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জনবান্ধব প্রশাসনের উৎকৃষ্ট উদাহরণ বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান,তার এই কর্মকান্ডের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন,গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন,প্রতিটি ক্ষেত্রে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই এই উপজেলায় আমার প্রধান কাজ।আমি আমার দায়িত্ব যথাযথ নিয়মে পালন করে যাবো।