আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সাথে দূর্ব্যবহার ও চিকিৎসা অবহেলা!

0
285

আশাশুনি প্রতিনিধি: মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘মুবিবর্ষে স্বাস্থ্য খাত এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ’ এ শ্লোগান থাকলেও আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তারদের বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে দূর্ব্যবহার ও চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক অবিনাশ চন্দ্র বৈদ্য প্রতিকার প্রার্থনা করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাবরিনা মুরসাল, আলিফ রহমান ও আশরাফুল নেছা (জলি) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা গ্রামের অবিনাশ চন্দ্র বৈদ্যের স্ত্রী বিপাসা রানী বৈদ্য একজন মানসিক রোগী। মানসিক রোগী হওয়ায় তার বিভিন্ন কর্মকান্ডে মাঝে মাঝে অবিনাশের পরিবার বিব্রত হয়ে পড়ে। গত ইং ১১ মার্চ বিকাল আনুমানকি ৫টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর ঘাটে বসে সে উকুন মারা ঔষধ (বিষ) পান করে এবং বাড়িতে গিয়ে তার শ্বাশুড়ির সাথে বলে। এসময় তার পরিবার তাকে দ্রুত আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ২ঘন্টা অতিবাহিত হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর পেট থেকে বিষ বাহির করা বা ওয়াস করেননি। ভূলক্রমে বিষ পান করা বিপাসা রানী বৈদ্য মরনাপন্ন অবস্থায় ডাক্তারদের সাথে ঘটনার বর্ণনা দিলেও ডাক্তাররা হাসপাতালে কোন ওয়াস করার যন্ত্রপাতি নেই বলে হাসপাতাল থেকে বাহির করে দেওয়া চেষ্টা করে। পরবর্তীতে রোগীর স্বামী অবিনাশ চন্দ্র বৈদ্য কান্না জড়িত কন্ঠে তার স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া জন্য ডাক্তারদের বার বার অনুরোধ জানালেও কতৃব্যরত চিকিৎসক সাবরিনা মুরসাল ও আলিফ রহমান বলেন- এই রোগীর চিকিৎসার জন্য আমাদের এখানে কোন যন্ত্রপাতি নেই এবং যে ঔষধ লাগবে তা আশাশুনিতে পাওয়া যাবে না। এ ঘটনায় রোগীর স্বামী অবিনাশ দিশেহারা হয়ে দ্রুত স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে তার স্ত্রীকে চিকিৎসা করান। বর্তমানে তিনি সুস্থ্য আছেন বলে জানান তার স্বামী অবিনাশ। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মেডিকেল অফিসার সাবরিনা মুরসাল সাংবাদিকদের জানান- ঘটনার দিন আমি জরুরী বিভাগে দায়িত্বে ছিলাম। রোগীটি যখন নিয়ে আসা হয়েছিলো তখন সে অধিক পরিমানে বমি করছিলো। আর এ কারণে তাকে ওয়াস করা সম্ভব হচ্ছিলো না এবং তার চিকিৎসার জন্য যে ঔষধ প্রয়োজন সেটি আশাশুনিতে পাওয়া যায়নি। এ জন্য তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে রিপার্ট করা হয়। এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুদেষ্ণা সরদার সাংবাদিকদের জানান- বিষ খাওয়া আক্রান্ত রোগীটি হাসপাতালে আসলে তার অবস্থা আশংকা জনক ছিলো। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রিপার্ট করা হয়। তার বা তাদের সাথে কোন দূরব্যবহার করা হয়নি।