আশাশুনিতে ১০৬টি মন্দিরে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে

0
1456

মইনুল ইসলাম,আশাশুনি থেকে:
জাতির মঙ্গল কামনায় সব অশুভ শক্তি বিনাশে প্রতিবছরের ন্যায় মহালয়ার দিনে দেবী দূর্গা শ্বশুরালয় থেকে পিতৃগৃহে আগমন করেন। “ঘোড়ায় মা দিলো পাড়ি, মা আসছেন বাপের বাড়ী, সঙ্গে তারা ছেলে মেয়ে, কি সুন্দর বহর নিয়ে, অষ্টমীতে ঢাকের বাড়ী, মা পরবেন নতুন শাড়ী” মুখরিত এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আশাশুনি উপজেলার প্রতিটি দূর্গা পূজা মন্ডবে চলছে নানা আয়োজন। বিভিন্ন মন্দিরে সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চলছে দেবী প্রতিমা তৈরী ও প্যান্ডেল ও লাইটিং এর কাজ। প্রায় ২মাস আগে থেকেই প্রতিমা ভাস্কররা তাদের মনের মাধূরী মেশানো রং দিয়ে তৈরী করছেন দেব-দেবতার প্রতিমা। তার পাশাপাশি ডেকোরেটর ও লাইটিং ম্যানেরা বিভিন্ন নকশা দিয়ে করছেন দৃষ্টিনন্দন বাহারী ডিজাইনের গেট ও ঝিকিরমিকির লাইটিং। আশাশুনি উপজেলার মহেশ্বরকাটি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি অনাঙ্গ মন্ডল জানান, কমিটি ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তারা সম্পন্ন করতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবল্মবীদের সর্ববৃহত উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। উপজেলার মধ্যে দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা ও ত্রেতাযুগে রাম-লক্ষণ, বিষ্ণমিত্র মনির সাথে মাধব পাটনীর নৌকায় নদীর পার হওয়ার সাথে মিল রেখে স্থানীয় খালে নৌকার আদলে আকর্ষনীয় সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান তারা। প্রতিমা শিল্পের হাতের রং তুলির ছোঁয়ায় দেবী দূর্গা প্রতিমা দশভুজা ষষ্ঠীতে পাবে জীবন্ত রূপ। দেবী সেজে উঠবে অপরূপ সাজে। শঙ্খ উলুধ্বনি আর মঙ্গল সংগীতে দেবী দূর্গাকে বরণ করে নেবে সনাতন ধর্মাবল্মবীরা। জাতির মঙ্গল কামনায় সব অশুভ শক্তি বিনাশ, পার্থিব শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি লাভের জন্য হিন্দু সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে মা দূর্গার আরাধনা করে আসছেন। আশাশুনি উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ১০৬টি দূর্গা মন্দিরে শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে চলছে পূজা প্রস্তুত ও সম্পন্নের কাজ। অন্যদিকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সহযোগিতায় শারদীয় দূর্গাপূজা কোন প্রকার আপত্তিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন আশাশুনি থানা ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ।