আ’লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে খুলনার তৃণমূলে হতাশা : পুনর্বিবেচনার দাবি

0
482

খুলনা টাইমস প্রতিবেদক:
আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাদের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও। কেউ কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে নতুন করে কাউন্সিলর প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার দাবি করছেন। অনেকে আবার দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়তে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এদিকে দাবির মুখে গতকাল বুধবার ২৩নং ওয়ার্ডে প্রার্থী পরিবর্তন করে ফয়েজুল ইসলাম টিটুকে মনোনয়ন দেওয়ায় অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সূত্র জানায়, আগামী ১৫ মে খুলনা সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের সিদ্ধান্তানুযায়ী মেয়র পদসহ ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একক কাউন্সিলর প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ঘোষিত কাউন্সিলরদের নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় ১০নং ওয়ার্ডে কাজী তালাত হোসেন কাউট, ১৪নং ওয়ার্ডে মফিজুর রহমান পলাশ, ৯, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডের (সংরক্ষিত) এ্যাড. মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, ১৬নং ওয়ার্ডে শেখ হাসান ইফতেখার চালু, ১৮নং ওয়ার্ডের পারভেজ আহমেদ পলাশ ও রাজুল হাসান রাজু, ২০নং ওয়ার্ডে আবুল কালাম আজাদ কামাল, বাদশা হাওলাদার, ২৫নং ওয়ার্ডে শেখ শহীদ আলী, ২৩নং ওয়ার্ডে ফয়েজুল ইসলাম টিটু, ১৬, ১৭ ও ১৮নং ওয়ার্ডের (সংরক্ষিত) রোজি ইসলাম নদীর নাম না থাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর ১০নং ওয়ার্ডের লোকজন কাজী তালাত হোসেন কাউট এর মনোনয়ন দাবি করে খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এসময় তারা যোগ্য প্রার্থী হিসেবে কাউটের মনোনয়ন দাবি করেন।
২৩নং ওয়ার্ডে ফয়েজুল ইসলাম টিটু দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় ফেসবুকে রীতিমত ঝড় উঠেছে। সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে অনেকে এই ওয়ার্ডে বিজয়ী হওয়ার জন্য টিটুর মনোনয়ন দাবি করেন এবং দলের কাছে মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন। যদিও গতকাল বুধবার প্রার্থী পরিবর্তন করে সাবেক ছাত্রনেতা টিটুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
২৫নং ওয়ার্ডে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবলীগ নেতা শেখ শহীদ আলী নিজেই ফেসবুকে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ভাই বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতবেন বলে আমি আশাবাদী। কিন্তু, কাউন্সিলর মনোনয়ন দেখে মনে হচ্ছে ৯৫% নির্বাচন এর আগেই আমরা হেরে বসে আছি।’
সাবেক ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর আলম লিখেছেন, ‘এখনও সময় আছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীগুলোর মনোনয়ন ঠিকঠাকভাবে পরিবর্তন করে দিন নতুবা দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
লিমন নামের একজন লিখেছেন, ‘যেভাবে অযোগ্য লোকেরা ওয়ার্ড এ মনোনয়ন পেয়েছে, যাদের তৃণমূলে কোনো জনপ্রিয়তা নেই। একারণেই এতো বিদ্রোহী প্রার্থী? আর এর ফলাফল নিশ্চয়ই আমাদের খুলনাবাসীর জন্য শুভংকরের ফাঁকি হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী গত মঙ্গলবার ও বুধবার নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই দলীয় মনোনয়ন না পেলেও প্রার্থী হবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তারা যার যার অবস্থান থেকে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।