আর্সেনিক এ্যাল্ব এর সাথে এন্টিমোনিয়ম টার্ট “করোনা” প্রতিষেধক হোমিওপ্যাথী ঔষধ

0
678

রামপাল প্রতিনিধি:
প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ফয়লাহাটের অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ অমল কৃষ্ণ পাল। তিনি হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিস করছেন ৪৫ বছরের বেশী সময় ধরে। গরীব ও দুঃস্থদের চিকিৎসায় তিনি কোনো টাকা-পয়সা নেননা বলে তিনি গরীবের ডাক্তার হিসাবেও এলাকার বেশ পরিচিত রয়েছে।
প্রতিবেদককে তিনি জানান, হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের নিয়ন্ত্রনও সম্ভব হতে পারে। বসন্ত, কলেরা ইত্যাদি মহামারী রোগে হোমিওপ্যাথিক প্রতিষেধক রয়েছে। যদিও করোনা ভাইরাস হিসাবে কোনো কিছু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার গ্রন্থে উল্লেখ নেই, তবে হোমিওপ্যাথীর জনক ডক্টর স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে তার আমলে মহামারির মতো ঘটনা ঘটেছে এবং তিনি গবেষনার মাধ্যমে এর প্রতিষেধক ঔষধ তৈরী করতে পেরেছিলেন। সেই সময়ে কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞান এতটা এগিয়ে ছিলো না বা জীবানু পরীক্ষা করার মতো এত আধুনিক সরঞ্জাম বা ল্যাবরেটরীও ছিলো না তবে সেখানে বিভিন্ন ঔষধ পরিচিতিতে আমরা ‘মহামারীর ক্ষেত্র’ কথাটির উল্লেখ আছে।
তিনি আরও বলেন, হোমিওপ্যাথী একটি লাক্ষনিক চিকিৎসা। এখানে রোগের নাম থেকে রোগের লক্ষনকে বেশী প্রাধান্য দেয়া হয়। তা সে সাধারন রোগ হোক কিংবা জীবানুদ্বারা সৃষ্ট রোগ। হোমিওপ্যাথির ভাষায় , প্রাণীর শরীরে যে সুক্ষ সত্তা বিদ্যমান তা হচ্ছে জীবনীশক্তি। আর রোগশক্তি জীবনীশক্তিকে আক্রমন করে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি করে। যার ফলে নানা ধরনের রোগলক্ষন প্রকাশ পায়। সুক্ষমাত্রার ঔষধ জীবনীশক্তির বিশৃঙ্খলতাকে আবার পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনে,যার ফলে রোগ আরগ্য হয় এবং রোগলক্ষন দূরীভূত হয়। ভেষজের সুক্ষমাত্রা একদিকে যেমন রোগকে আরগ্য করতে পাওে তেমনি সেটি প্রতিষেধক হিসাবেও কাজ করবে। বসন্ত ও কলেরা রোগে হোমিওপ্যাথিক প্রতিষেধক ব্যাবহার করে নিয়ন্ত্রন সম্ভব হয়েছে।
করোনা একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ। করোনার সঠিক লক্ষন এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে আর্সেনিক এ্যাল্বাম (৩০) ও এন্টিমোনিয়ম টার্ট (৩০/২০০) ঔষধের মধ্যে করোনার লক্ষনসমষ্টি বিদ্যমান। তাই ঔষধদুটিকে প্রতিষেধক হিসেবে ব্যাবহার করা যেতে পারে। এর কোনো পাশ^প্রতিক্রিয়া নেই। সকালে আর্সেনিক এ্যাল্বাম এর ২-৩ ফোটা এবং সন্ধ্যায় এন্টিমোনিয়ম টার্ট এর ২-৩ ফোটা খালিপেটে ঠান্ডা জলে মিশিয়ে পরপর ২দিন খাবার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি বাসি পচা ও ঠান্ডা খাবার পরিহার করা , গরম পানীয় পান,মুখে মাস্ক ব্যাবহার ,বারবার হাতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া,আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে না আসা,সর্বোপরী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেন তিনি।