আনুলিয়ায় ভোগদখলীয় পৈত্রিক জমিতে জবর দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন

0
306

মইনুল ইসলাম, আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে ১৪/১৫ বছরের ভোগদখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তিতে জবর দখলের চেষ্টা ও মিথ্যা প্রচারনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে পাইকপাড়া প্রাইমারী স্কুলের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধন কালে ৫ জন এসএ খতিয়ানের মালিকের ওয়ারেশগণ বলেন, পাইকপাড়া মৌজায় এসএ মালিক আত্তাপ উদ্দিনের নামে ডিপি ৪, এসএ ১০, ৮ ও ৫ নং খতিয়ানে এসএ ২, ৩, ১৩সহ ও হাল ২, ৩ ১৫ দাগসহ বিভিন্ন দাগে ৬১ শতক, ফেরদৌস হোসেন গং নামে ডিপি ২১, এসএ ১০, ৮ , ৫ খং এসএ ২, ৩ , ১৩ দাগসহ ও হাল ২, ৩, ১৫ সহ বিভিন্ন দাগে ৬১ শতক জমি, গোলাম খায়বর দিং নামে ডিপি ১৭, এসএ ১০, ৮, ৫ খতিয়ানে, এসএ ২, ৬৫, ৮৭ ও হাল ২, ৫১, ৬৭ দাগে ৬০ শতক, মফিজ উদ্দিন দিং নামে ডিপি ২৩, এসএ ১০, ৮, ৫ খতিয়ানে, এসএ ৪, ৮, ১৩সহ ও হাল ৪, ১০, ১৫সহহ বিভিন্ন দাগে, ৬৪ শতক এবং আঃ করিম দিং নামে ডিপি ৩, এসএ ১০, ৮, ৫ খতিয়ানে এসএ ৪, ১৩সহ ও হাল ৪, ১৫সহ বিভিন্ন দাগে ৬১ শতক জমি রেকর্ড হয়েছে। পক্ষান্তরে অপর এসএ মারিক মহাতাব উদ্দিন দিং নামে ডিপি ২৫, এসএ ১০ খতিয়ানে এসএ ২, ৮, ১৩সহ ও হাল ২, ১০, ১৫সহ বিভিন্ন দাগে ৭৩ শতক জমি রেকর্ড হয়েছে। যাতে দেখা যায় অন্য ৫ এসএ মালিকের জমির চেয়ে মহাতাব উদ্দিন দিং এর নামে ১৩ শতক জমি বেশী রেকর্ড হয়েছে। জানতে পেরে অন্য ৫ মালিকের ওয়ারেশগন রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা ১১৭৫/১৮ রুজু করেন। যা চলমান রয়েছে। এরপরও মাহতাব উদ্দিন দিং ওয়ারেশ আশরাফ উদ্দিনের পুত্র মানব কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এসএ মালিক ফেরদৌস হোসেনের পুত্র মহসিন আলমের ১৪/১৫ বছরের দখলীয় এস ১০ খতিয়ানে এসএ ৮ ও হাল ১০ দাগে পৈত্রিক ১৬ শতক (জলকরসহ) ও স্কুলের কাছ থেকে ডিড নেওয়া ৯ শতক জমিতে অবৈধ প্রবেশ করে বাঁশের ঘেরাবেড়া দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করেন। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনের দপ্তরে গ্রাম আদালতে ৫ জন বাদী হয়ে হেলাল উদ্দিন দিংকে বিবাদী করে পৃথক পৃথক ৫টি মামলা করলে ২১ ও ২৮ ডিসেম্বর দুদিন শুনানীকালে বিবাদী পক্ষকে অবৈধ ঘেরা উঠিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে শুনানীর দিন ধার্য করে কাগজপত্র দেখে ও সরেজমিন মাপজরিপ করে উভয় পক্ষের জমির সীমানা নিদ্ধারণ করার সিদ্ধান্ত জানানো হলে উভয় পক্ষ মেনে নিয়ে যায় কিন্তু ৪ জানুয়ারী ধার্য দিনে বিবাদী পক্ষ উপস্থিত হয়নি। তখন আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রাম পুলিশ অবৈধ বেড়া উঠিয়ে দিয়ে উভয় পক্ষকে ১১ জানুয়ারী দিন ধার্য করেন। কিন্তু বিবাদীরা আদালতের সিদ্ধান্ত অবমূল্যায়ন করে পত্রপত্রিকায় ষড়যন্ত্রমূক ভাবে সংবদা প্রকাশ করিয়ে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের পাশাপাশি চেয়ারম্যানসহ বাদী পক্ষের সম্মান হানির চেষ্টা করেছে। মানবন্ধনে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানানো হয়।