আইন-শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে : অধিকার

0
558

বিজ্ঞপ্তি : খুলনায় ‘নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস’ উপলক্ষে দেশের অন্যতম শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ খুলনা ইউনিটের পক্ষ থেকে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে বৈদ্যুতিক শক, পায়ের তালুতে পেটানো, যন্ত্রণাদায়ক ভঙ্গিতে ঝুলিয়ে রাখা, মারধর করা, চোঁখ বেঁধে রাখা, শ্বাসরোধ করা, সিগারেট দিয়ে পোড়ানো, অভুক্ত বা অনাহারে রাখা, ভীতিপ্রদর্শন করা এবং যৌন আক্রমণসহ বিভিন্ন ভাবে জনগন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এসব নির্যাতনের দায় রাষ্ট্র কখনই এড়াতে পারে না। আইন-শৃংখলা বাহিনী জনগনের নিরাপত্তার পরিবর্তে উল্টো তাদের ওপর নির্যাতন চালালে মানবাধিকার চরম ভাবে লঙ্ঘিত হয়। একটি স্বাধীন দেশে এটি চলতে দেয়া যায়না। এটি বন্ধ করতে হবে। বক্তারা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সব ধরণের নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ করে দোষীদের বিচারের সম্মুখীন করার দাবি জানান।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় প্রেস ক্লাব খুলনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশিষ্ট সাংবাদিক কাজী মোতাহার রহমান বাবু সভাপতিত্ব করেন। দিবসটি উপলক্ষে অধিকার’র ঘোষণাপত্র পাঠ করেন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার কে এম জিয়াউস সাদাত। পরিচালনা করেন অধিকার খুলনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন মুহাম্মদ নূরুজ্জামান।
বক্তৃতা করেন মানবাধিকার কর্মী মাহবুব আলম বাদশা, সিনিয়র সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু, সাংবাদিক হারুণ-অর-রশীদ, জিএম রাসেল, শেখ আইনুল হক, আসাফুর রহমান কাজল, মো. রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম শাহীন, রেজাউল আলম চৌধূরী বিপ্লব, ইয়াসিন আরাফাত রাজু, তামিম হাসান, রুবেল ইসলাম, রিয়াজ হাওলাদার, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. সেলিম হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, মূলত: রাজনৈতিক কারণে প্রতিপক্ষকে দমনের জন্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহারের কারণেই বেশিরভাগ নির্যাতন বাড়ছে। রাজনীতিবিদরা এ বিষয়ে সোচ্চার হলে নির্যাতন কমে যেত। সবাই চুপ থাকায় নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘণের ঘটনা বাড়ছে। নির্যাতিত মানুষের পাশে দাড়াতে বক্তারা সকল সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহবান জানান।