অভয়নগরে প্রভাব খাটিয়ে বিধবাকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ

0
189

অভয়নগর প্রতিনিধি:
অভয়নগরে প্রভাব খাটিয়ে এক বিধবাকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। উপজেলার একতারপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম ফারাজীর ছেলে সালাউদ্দিন হোসেন বুলবুল নিজের দখলে নেওয়ার জন্য তাকে উচ্ছেদ করেছেন। ওই বিধবা নাম নাছিমা বেগম(৫৫)। স্বামী ইউনুছ আলীর মৃত্যুর পর তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে অভয়নগর উপজেলার যশোর খুলনা মহাসড়কের রাজঘাট মাইলপোস্ট এলাকায় সড়ক ও জনপথের অব্যবহৃত জমিতে ২১ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছেন।
নাছিমা বেগম জানান, ওই জমিটি ২৬ বছর আগে ৫১ হাজার টাকা দিয়ে দখল সুত্রে ক্রয় করেছিলেন তার স্বামী।গত শুক্রবার পরিবার নিয়ে দুপুরে খাবার খাচ্ছিলেন। এমন সময় অভয়নগর রাজঘাট শিল্পাঞ্চলের প্রভাবশালী শ্রমিকলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ফারাজীর ছেলে সালাউদ্দিন হোসেন বুলবুল ফারাজী(৪৫) দেশীয় অস্ত্রসহ ২০ /২৫জন লোক নিয়ে তার বসত বাড়ি ভাংচুর শুরু করে। এ সময়ে বাঁধা দিতে গেলে তারা খুন যখম করতে আসে। ভয়ে ছেলেরা পালিয়ে যায। পরে তারা নির্বিঘেœ টিনের বেড়া ও টিনের চালার বসত ঘর সহ অনান্য ঘর ভেঙ্গে চুরমার করে। এছাড়া খাবার সহ হাড়ি পাতিল গুড়িয়ে দেয়। বসতবাড়ি ফিরে পেতে দারে দারে ঘুরছে ওই মহিলা।
অভিযুক্ত সালাউদ্দিন হোসেন বুলবুল জানান, আমি ওই বিধবার বসতবাড়ির পেছনে জমি ক্রয় করেছি। ওরা সরকারি রাস্তার জায়গায় বসবাস করে। আমি অন্যত্র বাড়ি করার জন্য জন্য বিধবাকে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম ওরা টাকা নিয়ে তা আবার ফেরত দিয়েছে। আমি কিছুদিন আগে ওই বিধার ছেলের নামে থানায় চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছিলাম। এ ঘটনায় থানায় বসে একটি সালিশ হয়েছিলো। সালিশে তারা একলাখ টাকার বিনিময়ে জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছিলো। আমি ওদের ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু ওরা জায়গা ছাড়েনি। যে কারনে আমি ওদের ঘর ভেঙ্গে দিয়েছি। আর মালামাল রাখার জন্য ছোট্ট একটি ঘর রেখেছি।
এ ঘটনায় ওই বিধবা বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। থানার অফিসার ইনচার্য মো: তাজুল ইসলাম বলেন, বিধাব সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে বসবাস করছিলো। তাদের টাকা দেওয়ার পরে ও জায়গা ছড়েনি। অতিরিক্ত টাকার দাবিতে তারা ঘর থেকে নাম ছিলো না। এ ব্যপারে স্থানীয় ভাবে আপস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।