অতিথি পাখি নিধন বন্ধে আইন প্রয়োগ ও সচেতনতা বৃদ্ধির আহবান জানিয়েছে বাপা

0
77

খবর বিজ্ঞপ্তি
অতিথি (পরিযায়ী) পাখি নিধন বন্ধে আইন প্রয়োগ ও সচেতনতা বৃদ্ধির আহŸান জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), খুলনা শাখা। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রচÐ শীতে জীবন বাঁচানোর জন্য শীত প্রধান অঞ্চল বিশেষ করে উত্তর মেরু, সাইবেরিয়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, এশিয়ার কিছু অঞ্চল এবং হিমালয়ের আশপাশের কিছু এলাকা থেকে অতিথি (পরিযায়ী) পাখিরা অন্যান্য এলাকার ন্যায় আমাদের দেশেও ছুটে এসে আশ্রয় নেয় বিভিন্ন জলাশয় ও বিল-হাওড় এলাকায়। যার সংখ্যা ৩০০ প্রজাতির মতো। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ঘনবসতি, পরিবেশ দূষণ, শিকারীদের থাবা ও খাদ্যের অভাবে এর সংখ্যা ইতোমধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ কমে গেছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। অন্য অঞ্চল থেকে এ পাখিরা আমাদের দেশে অতিথি হিসেবে আসলেও আমাদের দেশের পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, কৃষি, মৎস্য ও উদ্ভিদের বংশ বৃদ্ধিতে অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিবেশ ও প্রকৃতি বান্ধব এ পাখিরা শুধু শীতের হাত থেকে নিজেরা বাঁচতে আসে না। এরা জলজ ও ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকর পোকা খেয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে, অন্যদিকে এদের মল, মাছ তাদের উৎকৃষ্ট খাবার হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। এরা পরাগায়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু প্রাচীনকাল থেকে অসচেতন এবং এক ধরনের অসাধু শিকারী ও ব্যবসায়ীরা এদেরকে নিধন করে অবাধে। নিধন বন্ধে ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণি রক্ষা আইন প্রণীত হলেও এ আইনের প্রয়োগ ছিল যৎসামান্য। সচেতনতারও অভাব ছিল। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০১২ সালে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। এতে পাখি নিধনের শাস্তি হিসেবে ১ বছর কারাদÐ বা ১ লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দÐে দÐিত করার বিধান রাখা হয়েছে। পুনরায় একই অপরাধ সংঘটিত করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও অতিথি পাখির মাংস বা দেহের অংশ সংগ্রহে রাখলে ৬ মাসের কারাদÐ বা ৩০ হাজার টাকা অর্থ দÐ বা উভয় দÐের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু এ আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং পরিবেশগত ও আমাদের চাষাবাদ তথা অর্থনীতিতে এ পাখির অনস্বীকার্য ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা না থাকায় এগুলোকে নিধন করা হচ্ছে অবাধে।
সংগঠনের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও খুলনা শাখার সমন্বয়কারী অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার এক বিবৃতিতে দেশের এ অমূল্য সম্পদ অতিথি (পরিযায়ী) পাখি রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানান।