মোংলায় এসি (ল্যান্ড)’র হস্তক্ষেপে সরকারী জায়গায় প্রাচীর নির্মান কাজ বন্ধ

0
248

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
মোংলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী’র হস্তক্ষেপে সরকারী জায়গায় দেওয়াল নির্মান কাজ বন্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তিনি সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে বিতর্কিত জায়গায় সীমানা চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত দেওয়াল নির্মান কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।
সহকারী কমিশনার (ভূূমি) অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, মোংলা সরকারী কলেজ জামে মসজিদের দক্ষিন ও পূর্ব পাশ ঘেষে ুুএকটি সরকারী খাল ছিল যা বর্তমানে ভরাট হয়ে গেছে। এ খালের সীমানার পাশে মোহাম্মদ আলীর পুত্র মতিয়ার ও মুজিবরদের জমি রয়েছে। তারা তাদের জমির পাশ থেকে সরকারী খালের আনুমানিক ৭ থেকেু ১০ ফিট জায়গা প্রথমে টিন দিয়ে গড়া বেড়া দিয়ে ঘিরে নেয়। সম্প্রতি তারা সেই জায়গায় পাকা দেওয়াল দিয়ে সরকারী খালের কিছু অংশ ঘিরে নিয়েছে এবং বাকী অংশ ঘিরে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া তারা শ্যালাবুনিয়া মৌজার ৫৩৮ দাগে চলাচলের ৪শতক রাস্তা থেকে তাদের দলিল না থাকা সত্ত্বেও .০১৭৫ শতাংশ জায়গা অবৈধ ভাবে রেকর্ড করে নিয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি জানতে পেরে বিতর্কিত জায়গার সীমানা চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত দেওয়াল নির্মান কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে খাল দখলকারী মুজিবর জানান যে, তার মধ্যে সরকারী খালের কোন জমি নেই। তিনি সরকারী খালের কোন জমি ভোগ দখল করতে চান না। সরকারী খালের সীমানা মেপে যদি কোন জায়গা তার মধ্যে পড়ে, তা তিনি ছেড়ে দেবেন। স্থানীয় অধিবাসী কামাল, ফারুক,সোহেল সহ একাধিক এলাকাবাসী জানিয়েছেন যে, কলেজ জামে মসজিদের দক্ষিন ও পূর্ব পাশে সরকারী খাল ছিল যার একটি অংশ মুজিবর ও মতিয়ার দখল করে নিয়েছে। খালটি মেপে সীমানা চিহ্নিত করা গেলে সমস্যার সমাধান হবে বলে এলাকাবাসী আশাবাদ ব্যাক্ত করেন এবং অতি দ্রুত যাতে খালটি মাপা হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানান। এ বিষয়ে সহাকরী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী সাংবাদিকদের জানান যে, মতিয়ার ও মুজিবর যেখানে দেওয়াল নির্মান করছে, সেটি সরকারী জায়গা বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এটা জেনে তিনি দেওয়াল নির্মান কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো জানান যে, অল্প সময়ের মধ্যে সরকারী এ খালের সীমানা চিহ্নিত করা হবে এবং কেউ যদি সরকারী খালের কোন জায়গা দখল করে থাকে, সেখান থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হবে।