বাগেরহাটে প্রতিবন্ধিশিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

0
272

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে প্রতিবন্দী ও অটিজম শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও অংশগ্রহনকারী শিশুদের পুরুস্কার বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার চরকুলিয়া রুপা চৌধুরী অটিজম প্রতিবন্দী স্কুলের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেন। বিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত এই ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় বিস্কুট দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজোসহ সহ বিভিন্ন ইভেন্ট শিক্ষার্থীদের সতস্ফুর্ত অংশগ্রহন ছিল এক ধরণের বিশেষ উৎসাহ উদ্দিপনা। শুধু বিজয়ী শিশু নয়, অংশগ্রহনকারী সকল শিশুকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন আয়োজকরা।
পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মোল্লাহাট উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনিন্দ্য মন্ডল। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দিল ফারজানা ফারুকী‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক শেখ মোঃ কামরুজ্জামান, চরকুলিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার ইলিয়াসুর রহমান, পাক্ষিক সিডর পত্রিকার সম্পাদক এইচ এম মঈনুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনে অংশগ্রহন করতে পেরে খুশি প্রতিবন্দী শিক্ষার্থীরা। কোন কোন শিক্ষার্থী জীবনের প্রথম এ ধরণের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে অনেক শিক্ষার্থী।
প্রতিবন্দী শিক্ষার্থী রাবেয়া আক্তার বলেন, আমি বিস্কুট দৌড়ে অংশগ্রহন করেছি। আমি ফাস্ট হয়েছি। আমাকে পুরুস্কার দিন।
হুইল চেয়ারে বিদ্যালয়ে আসা আব্দুল হাই সকলকে গান শোনান। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আব্দুল হাই বলেন, হাটতে পারিনা। তাই কখনও স্কুলে যেতে পারিনি। এখানে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে কিছু শিখতে পারছি। অনেক মানুষের সাথে মিশতে পারছি। আমারমত অনেকেই আছে যারা হাটতে পারে না। কিন্তু স্কুলে আসে।
শুধু রাবেয়া আক্তার, আব্দুল হাই নয় অনেক শিক্ষার্থীরাই এভাবে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। অভিভাকরাও খুশি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন আয়োজনে।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দিল ফারজানা ফারুকী বলেন, প্রতিবন্দী শিশুদের নিয়ে অনেক চিন্তা করতাম। সব সময় চেষ্টা করতাম প্রতিবন্দীদের জন্য কিছু করার। ২০১০ সালে সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চরকুলিয়া এলাকায় অল্পকিছু প্রতিবন্দী শিশুদের নিয়ে রুপা চৌধুরী অটোজিম প্রতিবন্দী স্কুল প্রতিষ্ঠা করি। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। শিশুদের আমি খাবারেরও ব্যবস্থা করি মাঝে মাঝে। প্রতিবন্দী এই শিশুরা লেখাপড়া শিখতে পারলে পরিবারের বোঝা থাকবে না। তারা সমাজ ও দেশের সম্পাদ হবে। প্রতিষ্ঠানটির দেখভাল ও সার্বিক কল্যানে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।