খুলনায় শিশুকণ্যাকে ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

0
488

বিশেষ প্রতিবেদক: খুলনা নগরীর খালিশপুর হাউজিং স্ট্রেট এলাকায় ১৩বছরের শিশুকণ্যাকে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-াদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (৯আগস্ট) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেছেন। দ-প্রাপ্ত আসামি হলেন খালিশপুর হাউজিং স্ট্রেট এন/জে-১৭ এর বাড়ির ভাড়াটিয়া শাজাহানের ছেলে জালাল (২৫)। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার লল সিন্দালপট্রি গ্রামে। রায় ঘোষণাকালে আসামি জালাল পলাতক রয়েছেন।
রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুমন্ত কুমার বিশ্বাস জানান, খুলনায় মাত্র একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ছিল। গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আরো ২টি ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। একটি ট্রাইব্যুনাল থাকাকালিন সময়ে মামলার জট ছিল প্রায় ৭হাজার। তাছাড়া ওই ট্রাইব্যুনালে বিচারক ছিল না প্রায় ২/৩বছর। মামলাগুলো ৩টি ট্রাইব্যুনালে ভাগ হয়ে যাওয়ায় ১৯বছর আগের মামলা মাত্র তিন মাসের মাথায় রায় দেয়া সম্ভব হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৩মে।
আদালতের সহ বেঞ্চ সহকারী এসএম বদিউজ্জামান নথীর বরাত দিয়ে জানান, ক্রিসেন্ট জুট মিলে চাকরির সুবাদে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের তোতা মিয়া স্ত্রী ও তিনকণ্যা নিয়ে বসবাস করেন খালিশপুর হাউজিং স্ট্রেট এন/জে-১৭ কলোনীতে। ১৯৯৯ সালের ১৪ এপ্রিল তোতা মিয়ার ভাড়াটিয়া জালাল তার ১৩বছরের মেয়েকে নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে বাইরে নিয়ে যায়। দুপুর ১টার দিকে মেয়ে বাড়ি ফিরে এসে জানায় তাকে জালাল ও আরো একজন প্লাটিনাম কাচা কলোনীর ভিতর নিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা মোছা. মমতাজ বেগম বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ৩সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রেজাউল করিম আদালতে জালাল ও আরো একজন অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। রাস্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সুমন্ত কুমার বিশ্বাস এবং স্ট্রেট ডিফেন্স ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মিকাইল হোসেন।