খুলনায় মদ্যপানে নয়জনের মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

0
660

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা মহানগরী ও রূপসা উপজেলায় পূজায় ‘মদ্যপানে’ নয়জনের মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করেছে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় অমল দাম (২৬) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। ঘটনার মূলহোতা ইলিয়াস মুন্সী (৩২) লাপাত্তা রয়েছে। তাকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার খুলনা সদর থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বাদী মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা খুলনা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইকবাল হোসেন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার আসামি অমল দাস আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। অপর আসামি গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, মদ্যপানে মৃত্যুর ঘটনায় কারন উদঘাটনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। রূপসায় মদ্যপানে যারা মারা গেছেন তাদের স্ব স্ব ঠিকানায় গিয়ে কয়েকজন পরিবারের স্বজনদের ও বন্ধুদের নিকট থেকে জানা যায় ওই মদের যোগানদাতা অমল দাস। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় সে মৃত ব্যক্তিদের ৩ জনের কাছে মদ সরবরাহ করেন। তার দেয়ার মদ জনৈক ইলিয়াস মুন্সীর কাছ থেকে গত ৭ অক্টোবর কিনে এনে ওদেরকে সরবরাহ করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রূপসা উপজেলা যুগিহাটি গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ দাসের পুত্র অমল দাস মদ্যপানে নিহত পরিমল দাস, দিপ্ত দাসও ইন্দ্রানী বিশ্বাস নগরীর শঙ্খ মার্কেট বধুবরণ নামে অডিও ভিডিও দোকান আছে অমল দাসের কাছ থেকে মদ সংগ্রহ করেন। তাকে ১৬ অক্টোবর দোকান থেকে সকালে আটক করেন। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন মৃত ব্যক্তিদের কাছে গত ৭ অক্টোবর ইলিয়াস মুন্সীর কাছ থেকে মদ এনে সরবরাহ করেন। তার নিজ দোকানে বসে ইলিয়াসকে মোবাইলে মাধ্যমে ৪ বোতল অবৈধ বিদেশী ক্রয় করেন। এই মদের ক্রেতা ছিলো মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পরিমল দাস, দীপ্ত দাস ও ইন্দ্রানী বিশ্বাসের নিকট বিক্রয় করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটক অমল দাস জানান, ইলিয়াস মুন্সী খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বিদেশীমদের মূল যোগানদাতা। ফোনের অর্ডারের মাধ্যমে সে বিদেশী মদ ক্রেতাদের নিকট সরবরাহ করেন।