খুলনায় গণপূর্ত প্রকৌশলী জাকিরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

0
600

খুলনা টাইমস প্রতিবেদক:

খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তর খুলনা জোন এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জি এম এম কামাল পাশা। গত ৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত এক পত্রে তিনি গণপূর্ত সার্কেল যশোরের তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী মো. নাছিম খানকে এ নির্দেশ দেন।

পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় আগমনকে কেন্দ্র করে সার্কিট হাউজের বিদ্যুৎতের মেরামত কাজ নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেনের অনুমতিতে সম্পন্ন করেন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার আব্দুস সাত্তার খলিফা। কিন্তু তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: আবুল খায়েরের মাধ্যমে ৫০ টাকা উৎকোচ দাবি করেন নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির। অন্যথায় দিনের পর দিন ঘুরতে হবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়। এই মর্মে অভিযোগের বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে সুস্পষ্টভাবে মতামত উপস্থাপন করে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অত্র দপ্তরে প্রেরণ করতে অনুরোধ করা হলো।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় আগমনকে কেন্দ্র করে সার্কিট হাউজের বিদ্যুৎতের মেরামত কাজ নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেনের অনুমতিতে সম্পন্ন করা হয়। এসময় সার্কিট হাউজ কর্তৃপক্ষ কাজ বুঝে নিয়ে প্রত্যয়ন দেন। যার ফলে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাওনা হয় খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ এর কাছে। এই পগত ২ নভেম্বর উৎকোচের টাকা না দেওয়ায় সাত্তার খলিফার বড় ছেলেকে ডেকে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়া হয় এবং তার নিবন্ধিত ঠিকাদারি লাইসেন্সটি কালো তালিকাভূক্ত করার হুমকি দেন। একই সাথে সাত্তার খলিফা যাতে করে কোথাও ঠিকাদারি না করতে পারে সে ব্যবস্থাও নেয়ার হুশিয়ারি দেন ওই প্রকৌশলী। এঅবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা সাত্তার খলিফা আশংকা করছেন যে, তাকে বড় ধরণের ক্ষতিসহ ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে প্রাণ নাশের ক্ষতি করা হতে পারে। সঙ্গত কারণেই সে ভবিষৎতের কথা বিবেচনা রেখে ওইদিন সদর থানায় জিডি (নং ৯৪, তারিখ ০২/১১/১৭ইং) করেন।