খুলনার নিহত শিক্ষার্থী শিমুকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে, বলছে স্বজনরা

0
773

ফুলবাড়ীগেট (খুলনা) প্রতিনিধিঃ নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন যোগিপোল ৭ নং ওয়ার্ডের জব্বারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ট্রাক ড্রাইভার হালিম হাওলাদারের মেয়ে কুয়েট উন্মেষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী সাদিয়া আক্তার শিমু(৯)কে ধর্ষণ করে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে এমনটি বলছে নিহতের আত্মিয়-স্বজন এবং এলাকাবাসী। নির্মম এই হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দিতে এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে পানিতে ডুবে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়া সর্বচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। নিহতের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাল্টে দিতে তৎপরাতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। নিহতের আত্মিয় স্বজন এবং এলাকাবাসীর প্রশ্ন নিহতের শরিরে এবং যৌন অঙ্গে চিহৃ এবং প্রাথমিক সুতরহালে শরিরে চিহৃ থাকা শর্তেও কিভাবে এই ঘটনায় অপমৃতর মামলা হয়।
কুয়েট উন্মেষ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু ছাত্রী শিমুর মৃত্যুররহস্য উৎঘাটনে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থল এবং নিহতের আত্মিয়-স্বজনের সাথে কথা বলে শিমুর নিহতের ঘটনার নির্মম পরিনতির রহস্য রেরিয়ে এসেছে।
নিহতের লাশ তার বাড়ীতে আসলে এলাকাবাসী জব্বার, সুলতান, মনিরা, সাজেদা সহ যারা শিমুর লাশ দেখেছে প্রত্যেকের বর্ণনা অনুযায়ী তার শরিরের বিভিন্ন স্থানে নখের আচড়, যৌন অঙ্গে স্পট, গলায় কালো দাগ ছিলো বলে এই প্রতিনিধিকে জানান। এ ব্যাপারে নিহতের নানা তোতা শেখ জানান যে বাড়ীতে বেড়াতে যায় তারা মৃত্যু হয় তারা নাতির মৃত্যু পানিতে ডুবে হয়েছে বলে জানালেও এটা সম্পুন্ন মিথ্যা দাবী করে তিনি বলেন আমার নাতী সাতার জানে এটা সবাই জানে এবং যেখানে ডুবে গেছে বলা হচ্ছে সেই খানে হাটু পানি। এই পানিতে সে কিভাবে মারা যায়।
লাশের সাথে প্রাথমিক সুরত হাল রির্পোট থেকে ময়না তদন্ত পর্যন্ত সার্বক্ষনিক যে সাথে ছিলো নিহত শিমুর এমন একজন কাছের আত্মিয় তার নিরাপত্তার স্বার্থে নাম গোপরন রাখার শর্তে বলেন(যার কলরেকট সংরক্ষিত) শিমুর শরিরিক অবস্থা বলে দেয় তাকে ধর্ষণ করে গলা টিপে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। শিমু বাজার জন্য অনেক চেষ্টা করে সে বাচতে পারিনি। তার যৌন অঙ্গ সহ শরিরের বিভিন্ন অংশে চিহৃ দেখাগেছে। যা প্রত্যাক্ষ করেছে অনেকে এছাড়া তিনি বলেন আমি ময়না তদন্ত কক্ষে গিয়ে ডাক্তার এবং ডোমদের সামনে তার এই সকল চিহৃ দেখেছি। তিনি আরো বলেন মৃত্যুর পর প্রাথমিক সুরত হাল প্রস্তুতকারী এস আই সাইফুলকে তার রির্পোটে শরিরের বিভিন্ন অংশে চিহৃ লিখলেও কেন তিনি গোপন অঙ্গে চিহেৃর কথা গোপন করলেন জনতে চাইলে তিনি বলেন এটা ডাক্তারদের বিষয়ে বলে তিনি এড়িয়ে যান। নিহতের আত্মিয়-স্বজনের এই ঘটনার সাথে যে বাসায় বেড়াতে যায় সেই সাদ্দামের শালা ট্রাকের হাবিবুর(২০) দিকে। তাদের দাবী ধর্ষণ করে তাকে গলা টিপে হত্যা করে তাকে মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে লাশটি পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে পুকুরে ডুবে মৃত্যু বলে চালিয়ে দেন।
এদিকে অপমৃত্যুর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সাইফুলের কাছে নিহতের শরিরের বিভিন্ন অংশে চিহেৃর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি অত্যান্ত সেন্সসেটিভ এবং গোপনিয় আপনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন।
এই ঘটনায় এলাকাবাসী থানা পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন হত্যার প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করে দোষিদের শান্তির দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ১ অক্টোর রাতে দৌলতপুর থানাধীন রেলিগেট সাহেবপাড়া এলাকায় সাদিয়ার মামার বন্ধু সাদ্দামের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ২ অক্টোবর নিহত হয়।