মাছ উৎপাদনে ৪২ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

0
769

তথ্যবিবরণী :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে এর উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ চাষ করে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মাছ উৎপাদন ২৭ লাখ মেট্রিক টন থেকে ৪২ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ইলিশের উৎপাদন প্রায় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ছাঁড়িয়েছে। দেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

 

তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে খুলনা মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত গল্লামারী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার সভাকক্ষে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) এর আওতায় খামারী ও লিফদের মাঝে এরেটর বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে মানুষের আয় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। মানুষের মেধার বিকাশে প্রাণিজ আমিষের কোন বিকল্প নেই। এবার দেশীয় পশু দিয়ে কুরবানি সম্পন্ন করার পরও প্রায় ১০ লাখ পশু উদ্বৃত্ত ছিল। মাছ ও মাংসের উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে আমাদের।

খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক রণজিৎ কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তর ঢাকার উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. রমজান আলী, খুলনা মৎস্য পরিদর্শন ও মাণনিয়ন্ত্রণ এর উপপরিচালক মো. আব্দুল অদুদ এবং প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। স্বাগত জানান উপপ্রকল্প পরিচালক লুকাস সরকার। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার সাতটি উপজেলার ১৪টি সিবিজি মৎস্য খামারের জন্য খামারী ও লিফদের মাঝে ২৮টি এরেটর বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, খুলনাসহ ১০ জেলাতে এই প্রকল্প চালু রয়েছে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য নির্বাচিত ইউনিয়নসমূহের স্থানীয় মৎস্য চাষিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে উন্নত মৎস্যচাষ প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা, মৎস্যচাষ ও বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের মাধ্যম গ্রামীণ জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, মৎস্য চাষ সংক্রান্ত পর্যপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডরদের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান, দক্ষতা ও সক্ষমত বৃদ্ধিকরণ, স্থানীয় জলজ সম্পদের সুষম ব্যবহারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে কর্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে মৎস্য বিষয়ক সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণ এবং মৎস্য অধিদপ্তর, ইউনিয়ন পরিষদ, লিফ এবং স্থানীয় মৎস্যচাষিদের সমন্বয়ে মাঠ পর্যায়ে স্থায়ীত্বশীল সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মৎস্যচাষ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা।

পরে মন্ত্রী ফুলতলার জাহানাবাদ ইংলিশ স্কুল পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। তিনি বিকেলে ডুমুরিয়া কুলটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গুটুদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।