খুনের রাজনীতিকে চিরতরে বিদায় দেয়াই শেখ জামালের জন্মদিনের প্রত্যয় : তথ্যমন্ত্রী

0
306

তথ্যবিবরণী:
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যকারী খুনিচক্র আজও রাজনৈতিক মদদপুষ্ট হয়ে সক্রিয়। বাংলাদেশে আজ শেখ জামালের জন্মদিনে আমাদের প্রত্যয় হবে খুন ও খুনের রাজনীতিকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিদায় দেয়া। এজন্য সবাইকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন কালে এপ্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী তার সংক্ষিপ্ত কথনে বলেন, ‘আজ শেখ জামালের ৬৭তম জন্মদিন। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তার কবর জিয়ারত করছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শেখ জামালকেও সেদিন হত্যা করা হয়।’
‘শেখ জামাল সেনাবাহিনীর একজন মেধাবী অফিসার ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, সংস্কৃতিমনা ছিলেন, তিনি কোনো রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না, তাকে কেনো হত্যা করা হলো!’ প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই খুনের রাজনীতিকে চিরতরে বিদায় দিতে হবে।’
এদিকে, চলমান বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত থাকেনি, কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে তা মোকাবিলা করছেন, আজ সমগ্র বিশ্ব তার প্রশংসা করছে, বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা রাজনীতির সময় নয়, সকলে মিলে জনগণের পাশে দাঁড়াবার সময়।
বিএনপি’র সমসাময়িক ভূমিকা বিষয়ে এসময় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি’র রাজনীতি মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত, তারা জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। ঢাকা শহরে ত্রাণের নামে ফটোসেশান আর সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করাই তাদের কাজ। ফটোসেশান বাদ দিয়ে তাদের সত্যিকারভাবে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানাই।’
মন্ত্রী এসময় শেখ জামালের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান ও তার আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনায় অংশ নেন। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবুসহ দলীয় নেতা-কর্মীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।