কখনো সন্তুষ্ট হোয়ো না, কোহলিকে টেন্ডুলকার

0
347

স্পোর্টস ডেস্কঃ

অবসর নিয়েছেন পাঁচ বছর হলো। কিন্তু আবেদন সেই আগের মতোই। শচীন টেন্ডুলকার এখনো লোকজনের আগ্রহের মধ্যমণি, এমনকি তা দেশের বাইরে ইংল্যান্ডে গেলেও। সেখানে একটি ক্রিকেট একাডেমির উদ্বোধনে টেন্ডুলকার যথারীতি সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। নিজের নামে এই একাডেমিতে টেন্ডুলকার ও কাউন্টি ক্লাব মিডলসেক্স মিলে গড়ে তুলবে আগামী ক্রিকেটারদের। একটু ভুল হলো। শুধু ক্রিকেটার নয়, ‘ভালো মানুষ’ বানানোর প্রতিশ্রুতিও দিলেন টেস্ট ও ওয়ানডের সর্বোচ্চ এই রান সংগ্রাহক।

ভারতীয় দল যেহেতু এখন ইংল্যান্ডে, টেন্ডুলকারকে তাই যথারীতি তাঁর উত্তরসূরি নিয়ে কথা বলতে হয়েছে। বুঝতেই পারছেন, সেই উত্তরসূরি বিরাট কোহলি। সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারত হারলেও সেটা ছাপিয়ে আলোচনায় কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং। যে ম্যাচে ভারতের আর কোনো খেলোয়াড় ফিফটি পাননি, কোহলি সেখানে প্রথম ইনিংসে ১৪৯ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান। আরেকটু হলে একাই জিতিয়ে দিতেন!

এজবাস্টনে শেষ পর্যন্ত হারতে হলেও এ দুটি ইনিংসে টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। গত সাত বছরে প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে শীর্ষে উঠে এলেন তিনি। র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে সর্বশেষ ভারতীয় কে ছিলেন? ঠিকই ধরেছেন, ২০১১ সালে টেন্ডুলকার! তাঁর পরে প্রথম ভারতীয় হিসেবে কোহলি শীর্ষে উঠে এলেও এজবাস্টনে হারের জন্য সমালোচনা সইতে হয়েছে কোহলিকে। কিন্তু ভারতের টেস্ট অধিনায়কের প্রতি টেন্ডুলকারের পরামর্শ ‘হৃদয়ের কথা শোনো’।

কোহলি প্রসঙ্গে ক্রিকইনফোকে টেন্ডুলকার দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁর নিজের ক্যারিয়ারের চলার পথটাই, ‘শুধু বলব, চালিয়ে যাও। যেহেতু অসাধারণ খেলছ, তাই যেভাবে খেলছ, সেভাবেই চালিয়ে যাওয়া উচিত। আশপাশে কান দেওয়ার দরকার নেই। লক্ষ্যের দিকে মনোযোগটা ধরে রাখো এবং হৃদয়ের কথা শোনো। এই পথে অনেক কিছু ঘটবে এবং শুনবে। কিন্তু জীবনে যা অর্জন করতে চাও, তার প্রতি ভালোবাসা থাকলে ফল পাবেই।’

উত্তর লন্ডনে যাত্রা শুরু করা টেন্ডুলকার মিডলসেক্স একাডেমিটি ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী খুদেদের প্রশিক্ষণ দেবে। কাউন্টি কোচ এবং টেন্ডুলকার নিজেও কোচের ভূমিকায় থাকবেন। ৪৫ বছর বয়সী এই কিংবদন্তির মতে, এজবাস্টনে দল হারলেও কোহলির নিজের অর্জন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত। তবে কখনো রান করার ক্ষুধা যেন না কমে, সে ব্যাপারেও কোহলিকে সতর্ক করেছেন টেন্ডুলকার, ‘নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যত রান-ই করো না কেন, কখনো সন্তুষ্ট হতে পারবে না। বিরাটের ক্ষেত্রেও এটাই ঘটছে। যত রান-ই করুক না কেন, সে কখনো সন্তুষ্ট নয়। সন্তুষ্ট হওয়া থেকেই পতনের শুরু। বোলাররা ১০ উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারে কিন্তু ব্যাটসম্যানদের সে সুযোগ নেই। তাই কখনো সন্তুষ্ট হোয়ো না, সুখী থাকো।’