মইনুল ইসলাম, আশাশুনি:
সুপার সাইক্লোন ঘুর্ণিঝড় অামপানের কারনে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি পাউবো’র ভেড়ীবাঁধের ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। দু’শতাধিক হাতের মত বাঁধটি সংস্কার করা না গেলে যেকোনো সময় বাঁধটি বিধ্বস্থ হয়ে খোলপেটুয়া নদীর পানিতে এলাকা প্লাবিত হবে।
ইউনিয়নে মাড়িয়ালা ও হাজরাখালি গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ী বাঁধের অবস্থা অনেক আগে থেকেই খারাপ ছিল। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে থেকে প্রায় প্রতি বছরই এলাকাবাসী চরম ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতে বাধ্য হয়ে থাকে। কখন বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে সবকিছু একাকার হয়ে যায় এ দুশ্চিন্তায়। ইতিমধ্যে কয়েকবার বাঁধটি ভেঙ্গে এলাকার প্রাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো। বাঁধটি নিয়ে টেকসই কাজ না করায় বাঁধ নিয়ে চিন্তার শেষ নেই এলাকাবাসীর। গত বর্ষা মৌসুমে বাঁধের প্রায় ২০০ হাতের মতো এলাকার বড় অংশ নদী গর্ভে চলে যায়। এলাকার মানুষ তখন করোনা ভয় নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কোন রকমে বাঁধটি আটকিয়ে রাখলেও কতক্ষণ টিকে থাকবে তা নিয়ে শংঙ্কা বিরাজ করছে এলাবাসীরা মধ্যে। বাঁধ রক্ষা করতে না পারলে হাজরাখালী, মাড়িয়ালা, কলিমাখালী, বকচর, নাকতাড়া, লাঙ্গলদাড়িয়া, কলিমাখালিসহ বহু গ্রামের ঘরবাড়ি ও মৎস্য ঘেরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার দুশ্চিতায় আছে এলাকাবাসী। শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, বাঁধের অবস্থা ভয়াবহ। দ্রুত বাঁধটি রক্ষায় বড় ধরনের কাজ না করা হলে যেকোনো সময় বাঁধটি ভেঙে নদীর পানিতে এলাকা একাকার হয়ে যাবে।
