আশাশুনিতে জমির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে বিড়ম্বনায় বহু জমির মালিক

0
441

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনিতে জমির মালিকানা পরিবর্তন (নামপত্তন) নিয়ে বিড়ম্বনায় ভুগছেন বহু জমির মালিক। ৪৫ দিনের মধ্যে নামপত্তন সম্পর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও ৫ থেকে ৬ মাস অপেক্ষা করেও নামপত্তন হাতে পায়নি উপজেলায় এমন জমির মালিক আছে প্রায় ২শতাধিক। এদের মধ্যে অনেকেই ভুগছেন বিভিন্ন অসুখে। এসকল অসুস্থ্য ব্যক্তিদের কিছু মানুষের ইচ্ছা জমির নামপত্তন হয়ে গেলেই জমিটা রেজিস্ট্রি করে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবে বা ভালো ডাক্তার দেখিয়ে শরিরের পরীক্ষা গুলো করাবে। কেউ কেউ আবার জমি ক্রয়ের জন্য বড় অংকের টাকা দিয়ে অপেক্ষায় আছে কবে নামপত্তনের কাজ হয়ে যাবে এবং জমিটা রেজিস্ট্রি করে নিতে পারবে। প্রায় সাড়ে ৪ মাস নামপত্তনের জন্য অপেক্ষা করে অবশেষে বুধহাটা বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি একটা জমি ক্রয়ের জন্য টাকা দিয়ে রেখেছেন কিন্তু নামপত্তনের জন্য জমিটা রেজিস্ট্রি করতে পারছেন না। ৫ মাস অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর তার জমির নাপত্তনের খোজখবর নিতে আসা জৈনক ব্যক্তি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, জমির নামপত্তনটা হয়ে গেলে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে টাকা নিয়ে বাবাকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলাম কিন্তু মনে হচ্ছে সেটা আর সম্ভব হবে না কারন বাবার অবস্থা খুবই খারাপ। এ বিষয়ে কথা বললে বুধহাটা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা মোস্তফা মনিরুজ্জামান বলেন, নামপত্তনের কাজ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) অফিসের। এব্যাপারে আমাদের কিছু করনীয় থাকে না। একাধিক ভূক্তভোগির বক্তব্য সরকারি খরজের দ্বিগুন টাকা দিয়ে তারা প্রত্যেকে কোন না কোন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে নামপত্তন কেচ ফাইল করে সেখানেই জমা দিয়েছিলেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত বলেন, নামপত্তনের ফাইলগুলো তদন্তের জন্য নায়েব সাহেবদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আমি যখন আছি সব কাজ হয়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফ্ফারা তাসনীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নতুন আসছে উনাকে একটু সময়তো দেওয়া লাগবে। উপজেলার সচেতন মহলের বক্তব্য যে ফাইল গুলোর সমস্যা আছে সেগুলো হয়তো দেরি হতে পারে কিন্তু অন্য গুলোর তো এত দেরি হওয়ার প্রশ্নই আসে না। নামপত্তন বিড়ম্বনা নিরসনে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগিরা।