৫ শতাংশ টাকা দিয়েই খোলা যাবে ঋণপত্র

0
265

খুলনাটাইমস অর্থনীতি : করোনা ভাইরাসের কারণে শিশুখাদ্য আমদানি সহজ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য ৫ শতাংশের বেশি ঋণপত্র বা এলসি মার্জিন নির্ধারণ না করার জন্য বলা হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনার ফলে আমদানি মূল্যের ৫ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে পারবেন। পরে ধীরে ধীরে বাকি টাকা পরিশোধ করবেন। শনিবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশ্ব জুড়ে নোভেল করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে শিশুখাদ্যের চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক পণ্য বিবেচনায় বাজারে শিশুখাদ্যের মূল্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং সরবরাহে সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় শিশুখাদ্য আমদানির ঋণপত্র স্থাপনের (এলসি) ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা যাবে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত শিশুখাদ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। পুষ্টি নিশ্চিত করতে মায়ের দুধের পর বাজারে শিশুখাদ্যের ওপর নির্ভরশীল অধিকাংশ পরিবার। কিন্তু করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের মতো শিশুখাদ্যের দামও বেড়ে গেছে। এতে শিশুখাদ্য মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাবে আমদানি-রপ্তানিতে স্থবিরতার কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে শিশুখাদ্যের সংকটও দেখা যাচ্ছে। খরচ বাঁচাতে শিশুখাদ্যের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এখন টিনজাত খাদ্যের বদলে প্যাকেটজাত শিশুখাদ্য করছে। কারণ টিনজাতে উৎপাদন খরচ প্যাকেটজাত শিশুখাদ্যের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি। এ খরচ কমাতেই তারা টিনজাত শিশুখাদ্য কম উৎপাদন করছে।
জানা গেছে, বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশ থেকে ৪০০-র মতো শিশুখাদ্য আমদানি করা হয়। এর মধ্যে বেশি আমদানি হয় ভারত থেকে। এরপর ফিলিপাইন, বেলজিয়াম, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, চীন থেকে বেশি শিশুখাদ্য আমদানি হয়। এর বাইরে ব্রিটেন, ইতালি, ফ্রান্স, তুরস্ক থেকেও শিশুখাদ্য আমদানি হয়। শিশুখাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিনীতি আদেশ ও বিএসটিআই কর্তৃক নির্ধারিত বাংলাদেশ মান অনুযায়ী চালানভিত্তিক প্রত্যয়নপত্র দাখিল সাপেক্ষে পণ্য খালাসের বিধান রয়েছে। আমদানির পাশাপাশি এখন অনেক দেশি প্রতিষ্ঠান শিশুখাদ্য প্রস্তুত করছে।