“হ্যাকাররা বাসা থেকেই কাজ করার ‘সুযোগ’ নেবে”

0
263

খুলনাটাইমস আইটি: করোনাভাইরাস মহামারীতে বাসা থেকে কাজ করছেন অসংখ্য মানুষ, সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের কর্মক্ষেত্রের ল্যাপটপ এবং প্রাতিষ্ঠানিক ডেটা। বিষয়টি হ্যাকারদের নজর এড়াবে না বলেই সতর্কবার্তা জানিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানের ডেটায় অনুপ্রেবশের চেষ্টা করবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, দূর থেকে কাজ করা জনশক্তির বিপদের ব্যাপারে আগেই সতর্কবার্তা জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অন্যান্য স্থানের সরকারি কর্মকর্তারা। আগের তুলনায় গত কয়েক সপ্তাহে দূর থেকে কাজ করার পরিমাণ বেড়েছে ১০ ভাগ। — খবর রয়টার্সের। “এর আগে কথনও দূর থেকে কাজ করেননি এমন ব্যক্তিরাও এটি করার চেষ্টা করছেন এবং এটি একটি মাত্রা মেনে করার চেষ্টা করছেন তারা।” -বলেছেন সিসকোর ডুয়ো সিকিউরিটির জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা ওয়েন্ডি নেথার। গত দশকটিতে একাধিক চাকরির কাজ বাসা থেকে করার অভিজ্ঞতা রয়েছে নেথারের। সাম্প্রতিক এই পরিবর্তনটির ফলে আরও বেশি ভুল করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, প্রযুক্তি কর্মীদের উপর চাপ বাড়ছে এবং সাইবার অপরাধীদের কর্মীদের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেওয়া মতো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিতে করোনাভাইরাস থিমের সতর্কবার্তা, অ্যাপস, বার্তা, ম্যালিশাস সফটওয়্যার ইত্যাদি নিয়ে হাজির হচ্ছেন অপরাধীরা। সম্প্রতি সাইবার হামলার কবলে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য বিভাগ। করোনাভাইরাস মহামারীর সুযোগ নিতে দেখা গেছে সাইবার গুপ্তচরদেরকেও। গত সপ্তাহেই করোনাভাইরাস আপডেটকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে মঙ্গোলিয়ান সরকারের নেটওয়ার্কে সন্দেহভাজন রাষ্ট্র সমর্থিত হ্যাকাররা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান চেক পয়েন্ট। ইসরায়েলের রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ইসরায়েল অ্যারোস্পেসের সাইবার বিভাগের প্রধান এস্টি পেশিন বলেছেন, বাসা থেকে কাজ করার চলের ব্যাপারটিতে নজর রয়েছে সাইবার অপরাধীদের, “যা যা করতে হয় তা করে সংস্থায় অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে তারা।” অনেক কর্মীই নিয়োগকর্তার ডেটা পেশাদার কর্পোরেট নেটওয়ার্ক থেকে শুধু মৌলিক পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে সুরক্ষিত এমন ওয়াইফাই সেটআপে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার এভাবে ডেটা নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিজেদের যে বিধিনিষেধ রয়েছে, সেটি শিথিল করছেন। এভাবে সাইবার অপরাধ বাদেও ডিভাইস চুরি বা খোয়া যাওয়ার মাধ্যমেও ডেটা হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।