হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষে এ্যাডভোকেসি সভা

0
255
????????????????????????????????????

তথ্য বিবরণী: আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ মার্চ-২০২০ পর্যন্ত সারা দেশে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন পালন করা হবে। এ উপলক্ষে খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তরের আয়োজনে সোমবার দুপুরে স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলনকক্ষে জেলা পর্যায়ে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ।
সভায় জানানো হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত (প্রথম সপ্তাহে) যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেণি বা সমমান পর্যায়ের পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করে সে সকল প্রতিষ্ঠানে এমআর (হাম-রুবেলা) টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে। ক্যাম্পেইনের প্রথম সপ্তাহে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক ডোজ এমআর (হাম-রুবেলা) টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া ৭ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত (২য় ও তয়) সপ্তাহে যে সকল শিশু স্কুলে যায় না বা স্কুলে টিকা গ্রহণ করে নাই তাদেরকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে নিয়মিত, স্থায়ী ও অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রেগুলোতে প্রাপ্যতা অনুযায়ী এক ডোজ এমআর (হাম-রুবেলা) টিকা প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীরা যদি কোন কারণে নির্ধারিত তারিখে স্কুলে টিকা নিতে না পারে তবে নিয়মিত, স্থায়ী ও অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রে এমআর (হাম-রুবেলা) টিকা দেওয়া যাবে।
এ রোগের প্রকোপ থেকে শিশুকে বাঁচানোর জন্য নয় মাস থেকে ১০ বছরের নিচের সকল শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হবে। হাম-রুবেলা নিয়ে কোন শিশু যাতে জন্ম না নেয় সে জন্য আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ মার্চ-২০২০ পর্যন্ত সরকার বিনামূল্যে রুবেলা টিকা দেওয়া শুরু করছে। রুবেলা টিকার মাধ্যমে ৯৫ শতাংশ প্রতিরোধ করা যায়। এটি হাম এবং মাম্পস ভ্যাকসিনের সাথে একত্রে দেওয়া হয় যা এমআর টিকা হিসেবে পরিচিত। আগে কোন শিশুকে এই টিকা দেওয়া থাকলেও এই ক্যাম্পেইন আবারো টিকা দিতে হবে। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ, কার্যকারী ও পাশর্^প্রতিক্রিয়াহীন যা মারাত্মক সংক্রামক রোগ হাম-রুবেলা থেকে শিশুকে দূরে রাখে। অসুস্থ শিশুকে এই টিকা দেওয়া যাবে না।
সভায় বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আব্দুল আলীম। স্বাগত জানান ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাইদুল ইসলাম। হাম-রুবেল বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ডাব্লিউএইচওর প্রতিনিধি সৈয়দ ডাঃ আহসান রিজভী। সভায় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক অংশ নেন।