সুফিয়া কামালের ১৮তম প্রয়াণ দিবস আজ

0
477

টাইমস ডেস্ক :
নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ বেগম সুফিয়া কামালের আঠারোতম প্রয়াণদিবস আজ। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর তিনি মারা যান। বাংলাদেশ ও বাঙালির জন্য এখনো অনুপ্রেরণার উৎস সুফিয়া কামাল।

বেগম সুফিয়া কামাল। সংগ্রামী এই মানুষটি যেমন ছিলেন সবার আশ্রয়স্থল তেমনি শোষণ পীড়ন সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছিলেন আপোষহীন। জন্মেছিলেন ১৯১১ সালের ২০শে জুন বরিশালের শায়েস্তাগঞ্জে। বাবা নিরুদ্দেশ হবার পর মানুষ হয়েছেন নানাবাড়িতে।

বারো বছর বয়সেই বিয়ে। আর কোলে এক শিশুকন্যা নিয়ে বিধবা হন পনেরো বছর বয়সে। সাহসীকতার সাথে প্রথা ভেঙেছেন আবারো বিয়ে করে। লেখালেখির শুরু শৈশবেই। প্রথম লেখা প্রকাশিত হবার পর পরিবারের বৈরিতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। তবুও থামেননি। যৌবণের শোক ও হতাশাকে তিনি পূর্ণতা দিয়েছেন কবিতায়।

১৯৩৭ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ কেয়ার কাটা বাংলা ভাষার লেখক পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ত্রিশের দশকে সুফিয়া কামাল ঢাকার নারী লেখক হয়েও সাহচর্য পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বড় লেখকদের। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়ার’ ভূমিকা লিখেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। উপমহাদেশে নারীদের জন্য প্রথম পত্রিকা বেগমের সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১৯৪৭ সালে।

নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন কার্ফিউ ও গুলির মুখেও বের করেছেন প্রতিবাদী শোভাযাত্রা। নেতৃত্ব দিয়েছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির।

বাঙালির জীবনকে শৃঙ্খল মুক্ত করে নতুন দিনের সূচনা এবং নারীকে জাগিয়ে তোলার মধ্য দিয়ে একটি সুন্দর ও প্রগতিশীল সমাজ তৈরির শুধু স্বপ্নই দেখেন নি এ লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন আজীবন। নারীজাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার সাহচর্য ও অনুপ্রেরণাই তাকে এগিয়ে দিয়েছিলো এই পথে।

১৯৯৯ সালের বিশে নভেম্বর তিনি মারা যান। বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে তাঁকেই প্রথম পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।